মামুনুর রশীদ
টাকা পাচারকারীরা আমেরিকা-ইংল্যান্ডকে বাসযোগ্য করার চেষ্টা করছে
নাট্য ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ বলেছেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে লড়াই-সংগ্রাম করছি, দেশটাকে বাসযোগ্য করার চেষ্টা করছি। আমরা একদিকে বাসযোগ্য করার চেষ্টা করছি, অন্যদিকে টাকা পাচারকারীরা দেশ থেকে টাকা নিয়ে আমেরিকা, ইংল্যান্ড, মালেশিয়াকে বাসযোগ্য করার চেষ্টা করছে।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের কনভেনশন হলে ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন আখ্যান ও সমান্তরাল বাস্তবতা: পিছিয়েপড়া জনগোষ্ঠীর ভাবনা’ শীর্ষক বইয়ের জনপ্রকাশ অনুষ্ঠান ও সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন সিপিডির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান।
আরও পড়ুন>> অর্থপাচার রোধে এবার আমদানি পণ্যে বাড়তি নজরদারি
বইয়ে লেখা পিছিয়েপড়া মানুষের সমস্যা ও সংকট প্রসঙ্গে মামুনুর রশীদ বলেন, সমস্যাগুলো রাজনৈতিক। এটাকে যদি রাজনৈতিকভাবে সমাধান করা না যায়, এতে যদি রাজনীতিবিদ, আমলা, প্রযুক্তিবিদ যুক্ত না হন তাহলে এগুলো সমাধান করা খুব কঠিন।
আমরা কি শিক্ষাকে ধ্বংস করে দিলাম? এমন প্রশ্ন তুলে এই সংস্কৃতিকর্মী বলেন, পৃথিবীর পুঁজিপতি দেশগুলো কিছু কিছু জায়গায় স্পর্শ করে না। যেমন শিক্ষা তারা স্পর্শ করে না। কিন্তু জিয়াউর রহমানের আমল থেকে শুরু হয়েছে শিক্ষকদের সামনে আঙুল উঁচিয়ে কথা বলা। এই আঙুল উঠতে উঠতে কোথায় গেলো। শিক্ষকদের গলায় জুতার মালা, শিক্ষককে স্ট্যাম্প দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
সমাজের বৈষম্য দূর করতে রাজনৈতিক আন্দোলন দরকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজ বিরোধীদল এক দাবিতেই আন্দোলন করে। সেটা হলো ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য। ক্ষমতায় গিয়ে করবেটা কী? এটা একটু শুনি বলেন...। আপনি ক্ষমতায় আসতে চান। আপনাকে পূর্ণ সমর্থন দেবো, বলেন আপনি কী করবেন।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, বাংলাদেশের আহ্বায়ক ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
এসময় উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে দেশে বৈষম্য বাড়ছে জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশে যে সবচেয়ে বেশি ১০ শতাংশ ধনী আছে তারা ৪১ শতাংশ আয়কে নিয়ন্ত্রণ করে। আর সবচেয়ে গরিব যে ১০ শতাংশ মানুষ আছে তারা ১ দশমিক ৩ শতাংশ আয়কে নিয়ন্ত্রণ করে। এই ব্যবধান কিন্তু বছর বছর বাড়ছে। অর্থনৈতিক বৈষম্যের পাশাপাশি গ্রামীণ দারিদ্র্যও বেড়েছে।
প্রকাশিত বই নিয়ে আলোচনা করেন করেন মানবধিকারকর্মী অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, বিচারপতি মো. আবদুল মতিন, বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর প্রমুখ।
এসএম/ইএ/জেআইএম