বিদ্যুৎস্পৃষ্টে চারজনের মৃত্যু

হাজী রোডের অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ উচ্ছেদ শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৩০ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বৃষ্টির পানিতে হেঁটে যাওয়ার সময় রাজধানীর কমার্স কলেজ সংলগ্ন হাজীপাড়া সড়কে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে চার জনের মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে এ সড়কে দুর্ঘটনা ঘটে। তারা সড়কের অন্যপাশের ঝিলপাড় বস্তির বাসিন্দা। বিদ্যুতের অবৈধ সংযোগে কারণে ওই চারজনের মারা যায় বলে বস্তিবাসীর অভিযোগ ছিল।

শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টা থেজে বিদ্যুৎ বিভাগের একটি দল ঘটনাস্থল সংলগ্ন অবৈধ বিদ্যুতের তার উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করে। বিকেল সাড়ে ৪টায় বিদ্যুতের লাইন উচ্ছেদ শেষ করে। এসময় মিরপুর মডেল থানার একাধিক পুলিশ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

ঝিলপাড় হাজীপাড়া সড়কের সিরাজিয়া ইসলামীয়া মাদরাসা ও এর পাশে মুক্তা ফার্মেসির মধ্যবর্তী দেয়াল বেয়ে নামানো অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন। আর সামাম্য দূরেই শাহজাহান ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড ইলেকট্রনিকসে এ দেওয়াল সংলগ্ন অবৈধ বিদ্যুতের লাইন ও উচ্ছেদ করা হয়। দেওয়ালে প্লাস্টার ভেঙে ও ড্রেনের নিচ থেকে এসব লাইন কাটা হয়। শাবল, হাতুড়ি দিয়ে প্লাস্টার ভেঙে কাটা হয় বিদ্যুতের অবৈধ লাইন। ড্রেনের নিচ থেকে কাটা হয় অবৈধ বিদ্যুতের লাইন।

Electrified

বাসিন্দারা জানায়, বিদ্যুতের খুঁটি থেকে লাইন নিয়ে সিরাজিয়া ইসলামিয়া মাদরাসা ও শাহজাহান ইলেকট্রনিকস ভবন সংগলগ্ন দেওয়াল দিয়ে তা নামানো হয়। খুঁটি থেকে বিদ্যুতের অবৈধ সংযোগ দেওয়ার পর তারা নিজেরা বিল্ডিংয়ের দেয়ালে প্লাস্টার করে দেয়। লাইনটি ড্রেনের ভেতর দিয়ে নিয়ে অন্যপাশের ঝিলপাড়ের বস্তিতে সংযোগ দেওয়া হয়।

স্থানীয়রা জানায়, বস্তিতে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ করে একাধিক ব্যক্তি। যাদের নিয়ন্ত্রণে ঝিলপাড় বস্তিতে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বস্তির এক বাসিন্দা বলেন, বিদ্যুতের লাইন থেকে ৬টা লাইন নামিয়ে বস্তিতে দেওয়া হয়েছে। যার তিনটা ঝিলপড়া বস্তির রাস্তা থেকে নামানো হয়েছে। আর বাকি তিনটা বস্তির বিপরীত পাশের সড়ক থেকে নামানো হয়েছে। বস্তিতে প্রায় ১ হাজার লোকের বসবাস। প্রত্যেক ঘর থেকে মাসে ২০০-৮০০ টাকা করে উঠানো হতো।

বাসিন্দারা বলছে, সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করে বছরের পর বছর অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে বস্তিবাসীর কাছ থেকে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা আদায় করা হয়। অবৈধ এসব বিদ্যুৎ সংযোগের বিষয়ে সবাই অবগত, কিন্তু প্রকাশ্যে কেউ মুখ খুলে না। দুর্ঘটনার পর পানিতে বিদ্যুৎ থাকার বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। তখন দ্রুত অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের লাইনটি খুঁটি থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয় সংযোগ প্রদানকারীদের কেউ।

এ বিষয়ে মিরপুর মডেল থানার সাব ইন্সপেক্টর নেলসন জাগো নিউজকে বলেন, আমরা এখানে বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজনের নিরাপত্তা দিতে এসেছি। এখানে যাতে কোনো হট্টগোল না হয় সেজন্য এসেছি। তদন্তের পর জানা যাবে কারা এ অবৈধ সংযোগের সঙ্গে জড়িত।

 

এসএম/এমআইএইচএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।