মোবাইল চুরির পর আইএমইআই পরিবর্তন করে বিক্রি করতেন তারা
দেশের বিভিন্ন এলাকায় জনসমাগমস্থল, বাস টার্মিনাল, রেল স্টেশন ও মার্কেট থেকে মোবাইল ফোন চুরি করত একটি চক্র। পরে মোবাইল ফোনগুলোর আইএমইআই (ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি) পরিবর্তন করে মার্কেটে বিক্রি করত। এ চক্রের ১১ সদস্যকে ৮০টি চোরাই মোবাইল ফোন ও অন্য সরঞ্জামসহ গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগ।
গ্রেফতাররা হলেন- মো. দিপু, মো. সুজন, মো. লাম ইসলাম, মো. সোহেল রানা, মো. শাহিরুল ইসলাম, মো. রায়হান, মো. ইমরান নাজির, মো. জাহাঙ্গীর আলাম, শেখ মো. বাবু, মো. সুমন শেখ ও মো. মোশারফ।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর ও গাজীপুর জেলায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে ডিএমপির গোয়েন্দা সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগের ওয়েব বেইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম।
ডিএমপির ডিবি কম্পাউন্ডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেন, ওয়েব বেইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম ইনচার্জ এডিসি আশরাফউল্লাহর নেতৃত্বে ঢাকা মহানগর ও গাজীপুর জেলায় অভিযান পরিচালনা করে সংঘবদ্ধ মোবাইল চোর, আইএমইআই পরিবর্তন ও কেনাবেচা চক্রের ১১ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন মডেলের ৮০টি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, একটি ডেস্কটপ, আইএমইআই কাটায় ব্যবহৃত তিনটি ডিভাইস, ১৫টি সিম কার্ড ও ১১টি মেমোরি কার্ড জব্দ করা হয়।
হারুন অর রশীদ আরও বলেন, গ্রেফতাররা মোবাইল ফোন চুরি ও ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত। তারা জনসমাগমস্থল, বাস টার্মিনাল, রেল স্টেশন ও মার্কেট থেকে মোবাইল ফোন চুরি করে। পরে সেগুলোর আইএমইআই পরিবর্তন করে মার্কেটে বিক্রি করে। মোবাইল ফোনের লক খোলার ক্ষেত্রে এ চক্রের সদস্য সুজন ও লাম ইসলামের সহায়তা নেওয়া হতো। গ্রেফতারদের তুরাগ থানার মামলায় আদালতে পাঠানো হয়েছে।
টিটি/এমকেআর/জেআইএম