কৃষি মার্কেটে আগুন

‘আমিও শেষ, কর্মচারীরাও শেষ’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:১৭ এএম, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের নতুন কাঁচাবাজারের ভেতরে একটি কাপড়ের দোকান ছিল মো. সাদেকুল ইসলাম সাগরের। ওই মার্কেটে লাগা আগুনে তার দোকানের সব মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি দোকানির।

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নতুন কাঁচাবাজারের সামনে জাগো নিউজের সঙ্গে কথা হয় সাগরের।

আগুনে সব হারিয়ে তিনি বলেন, সামনে আমাদের সিজন, মাল উঠানো হবে, টাকা ক্যাশ করতে হবে। ব্যাংকে ১৯০০ টাকা আছে। কী কইরা বাঁচবো, কেমনে বাঁচবো এত চিন্তা কইরা লাভ হইবো না এখন আর। এখন যদি আমি গড়াগড়ি করে কান্দি আমারে কেউ দিবো না। এই যে নানা কিছু আলাপ করতেছে, কী দিবো আমাদের জানা আছে না? একবেলা বাজারের টাকাও দিবে না। এই করবো, সেই করবো। সবাই দেয়, অনেক কিছু করে। এই পর্যন্ত পাঁচশ ফোন রিসিভ করেছি সবাই সান্ত্বনা দেয়, আর কী দিবো কন? কেউ কইবো না আমার কাছে টাকা আছে ২০ লাখ তুমি নিয়া চলো। এখন থাকলেও টাকা দিবো না, কারণ দেখবো আমি এখন দিবো কোত্থেকে।

আরও পড়ুন: মালামাল রক্ষার চেষ্টায় ব্যবসায়ীরা

বুধবার দিনগত রাত ৩ টা ২০ মিনিটে খবর পেয়ে দৌড়ে মার্কেটে আসেন সাগর। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, মার্কেটের শুরু থেকেই এখানে আছি। ২৬ বছর ধরে এখানে ব্যবসা করছি। আগুনের খবর শুনে আইয়া দেখি গেইট লাগানো। ভেতরে ঢুকতে পারি নাই। আগুন জ্বলতেছে। দুই লাখ টাকা ক্যাশও ছিল দোকানে।

সাদেকুল ইসলাম সাগর বলেন, আমার দোকানে তিনজন কর্মচারী আছে। আমিও শেষ, কর্মচারীরাও শেষ। কী করণীয় আছে; কিছুই তো নাই আমার কাছে আর। আমার কাছে যদি ২০ লাখ টাকা থাকতো তাহলে আমি আবার কিছু করে বাঁচতে পারতাম। ১০ হাজার টাকাও নাই আমার কাছে।

আরও পড়ুন: ‘দোকান থেকে যা বের করছি, সেগুলো তো অচল’

ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে তিনি বলেন, সবার মিলে হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। ক্যাশই পুড়েছে হয়তো দুই-তিন কোটি টাকা। সবারই তো ক্যাশ টাকা থাকে। কারও এক লাখ, আবার কারও ২০ লাখ। দোকানে মাল আছে এক কোটি টাকার তা রেখে যাচ্ছে, সেখানে ১০ লাখ টাকা ক্যাশ থাকুক তাতে তো সমস্যা নাই। সবাই পুরানা ব্যবসায়ী।

আরএসএম/এমআরআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।