একনজরে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৪১ এএম, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, ছবি: বিপ্লব দিক্ষিত

যানবাহন চলাচলের জন্য প্রস্তুত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের একাংশ। ২ সেপ্টেম্বর বিমানবন্দরের কাছে কাওলা থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মোটরসাইকেল ও থ্রি হুইলার ছাড়া অন্য যানবাহন চলাচল করবে এতে। তবে একাংশ খুলে দেওয়ার কারণে এখনই পুরোপুরি সুফল মিলবে না। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ঢাকা শহরের যানজট অনেকাংশে কমে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। একনজরে দেখে নেওয়া যাক প্রকল্প।

প্রকল্পের নাম: ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি প্রকল্প।

প্রকল্পের রুট: হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দক্ষিণে কাওলা-কুড়িল-বনানী-মহাখালী-তেজগাঁও-মগবাজার-কমলাপুর-সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী-ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক (কুতুবখালী)।

আরও পড়ুন: প্রস্তুত ১৩ র্যাম্প, খুলছে না বনানী-মহাখালী

বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান: ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (এফডিইই) কোম্পানি লিমিটেড।
শেয়ারহোল্ডারস: ইতালিয়ান থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেড (থাইল্যান্ড) ৫১ শতাংশ, চায়না শ্যানডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো অপারেশন গ্রুপ (সিএসআই) ৩৪ শতাংশ এবং সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেড ১৫ শতাংশ।

চুক্তি সই: ২০১১ সালের ১৯ জানুয়ারি

সংশোধিত চুক্তি সই: ২০১৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর

প্রকল্পের মেয়াদ: ২০১১ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত।

প্রাক্কলিত ব্যয়: আট হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। এরমধ্যে দুই হাজার ৪১৩ কোটি টাকা বা ২৭ শতাংশ বহন করবে বাংলাদেশ সরকার। এছাড়া ২০১৯ সালের ৩০ মার্চ বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান চায়না এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে ৪৬১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংক অব চায়নার (আসিবিসি) সঙ্গে ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারসহ মোট ৮৬১ মিলিয়ন ডলারের ঋণচুক্তি সই হয়। এরই মধ্যে মোট ৩৮২ দশমিক ৭১ মিলিয়ন ইউএস ডলার ছাড় হয়েছে।

আরও পড়ুন: এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ব্যয় বাড়ছে সাড়ে ৫ কোটি টাকা

এক্সপ্রেসওয়ের দৈর্ঘ্য: মূল এলিভেটেড অংশের দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। প্রকল্পে ওঠানামার জন্য মোট ২৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ৩১টি র‌্যাম্প রয়েছে। র‌্যাম্পসহ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মোট দৈর্ঘ্য ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার।

প্রকল্পের ধাপ: প্রথম ধাপ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দক্ষিণে কাওলা থেকে বনানী রেলস্টেশন পর্যন্ত। যার দৈর্ঘ্যে ৭ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার।

দ্বিতীয় ধাপ: বনানী রেলস্টেশন থেকে মগবাজার রেলক্রসিং পর্যন্ত। যার দৈর্ঘ্যে ৫ দশমিক ৮৫ কিলোমিটার।

তৃতীয় ধাপ: মগবাজার রেলক্রসিং থেকে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক (কুতুবখালী) পর্যন্ত। যার দৈর্ঘ্য অবশিষ্টাংশ।

আরও পড়ুন: ২ সেপ্টেম্বর ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেস হাইওয়ে উদ্বোধন: ওবায়দুল কাদের

কাজ শুরুর তারিখ: ফর্মাল কন্সট্রাকশন কমেন্সমেন্ট ডেট (সিসিডি) ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি।

কাজ সমাপ্তির তারিখ: ২০২৪ সালের ৩০ জুন।

অর্থনৈতিক প্রভাব: প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ঢাকা শহরের যানজট অনেকাংশে কমে যাবে এবং ভ্রমণের সময় ও খরচ কমবে। এছাড়া জিডিপিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

এমওএস/জেডএইচ/এএসএম

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।