আল্লাহর ওয়াস্তে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফেরত দেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:১৭ পিএম, ৩০ আগস্ট ২০২৩
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন/ ফাইল ছবি

বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয় দেওয়া দেশগুলোকে উদ্দেশ করে করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, যারা আজ মানবাধিকারের কথা বলেন তারা বিভিন্ন অজুহাতে বঙ্গবন্ধুর ঘাতকদের আশ্রয় দিয়ে রেখেছেন। আমরা তাদের বিচারের সম্মুখীন করতে চাই।

তিনি বলেন, বিদেশি বন্ধুদের বলতে চাই, আল্লাহর ওয়াস্তে এ ধরনের ঘাতকদের ফেরাতে উদ্যোগ নেন। যারা অপরাধী তাদের অবশ্যই বিচারের সম্মুখীন করতে চাই।

বুধবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়েজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। ‘১৯৭৫ সালের বর্বরতা: বাংলাদেশের মানবাধিকার ও শাসনের ওপর প্রভাব’ শীর্ষক এই আলোচনা হয়।

আরও পড়ুন: রাষ্ট্রদূতরা এ দেশে নিজেদের সম্রাট মনে করেন 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হলো। তখন আমাদের বড় বড় বন্ধুরা যারা এখন মানবাধিকারের কথা বলেন, তাদের মুখ থেকে তখন একটি কথাও বের হয়নি।

তিনি বলেন, তারা মানবাধিকারের কথা বলেন, কিন্তু তারা তখন নিশ্চুপ ছিলেন। বরং ঘাতক সরকারগুলোকে সাহায্য করেছেন। আর যারা ঘাতক তাদের বিভিন্ন অজুহাতে এখনও তাদের দেশে আশ্রয় দিয়ে রেখেছেন। আমরা তাদের বিচারের সম্মুখীন করতে চাই।

আওয়ামী লীগ হত্যার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না উল্লেখ করে ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, অন্যদের সময় দেখেছেন সন্ত্রাসের ইতিহাস, জঙ্গির ইতিহাস, বাংলা ভাইয়ের ইতিহাস। পরপর পাঁচবার এক নম্বর দুর্নীতি পরায়ণ দেশের ইতিহাস। আমরা হত্যার রাজনীতি বিশ্বাস করি না। আমরা একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলায় যেতে চাই না। আমরা সিরিজ কিলিংয়ে যেতে চাই না।

আরও পড়ুন: সমঝোতার বিষয় নেই, নির্বাচন অবাধ-সুষ্ঠু হবে 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার কারণে বাংলাদেশের গণতন্ত্র টেকসই হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা (ক্ষমতায়) আসার পর দেশে নির্বাচন হচ্ছে। শেখ হাসিনা মানবাধিকারের জন্য কাজ করছেন। বিদেশি বন্ধুদের নিশ্চয়তা দিতে চাই, প্রধানমন্ত্রী আছেন বলে মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত হচ্ছে। যতদিন শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ আছে, আমরা এগুলোকে প্রিন্সিপাল এবং ভ্যালুস হিসেবে রাখবো।

আলোচনা অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। আর সেই নির্বাচনে এদেশের জনগণ শেখ হাসিনাকেই বেছে নেবে। শেখ হাসিনার বর্তমান সরকার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বিশ্বাসী। সে অনুযায়ী আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর দায়মুক্তির সংস্কৃতি তৈরি করা হয়েছিল। তবে ১৯৯৬ সালে প্রথম দফায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর দায়মুক্তির সংস্কৃতির অবসান ঘটিয়েছেন।

আলোচনা সভায় মানবাধিকরা কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য নাহিন ইজহার খান ও পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বক্তব্য দেন।

আইএইচআর/কেএসআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।