চট্টগ্রামে বর্জ্য সংগ্রহাগার বানাতে চায় ফিনল্যান্ডের হাবা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ০৭:৫৯ পিএম, ২৩ আগস্ট ২০২৩
চসিক মেয়রের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে হাবা গ্রুপের তিন সদস্যের প্রতিনিধিদল

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) এলাকার জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ভূগর্ভস্থ বর্জ্য সংগ্রহাগার বানাতে চায় ফিনল্যান্ডের প্রতিষ্ঠান হাবা গ্রুপ। বুধবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে হাবা গ্রুপের তিন সদস্যের প্রতিনিধিদল চসিক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ আগ্রহের কথা জানান প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা।

সাক্ষাৎকালে হাবা গ্রুপের প্রতিনিধিদল মেয়রের কাছে এ বিষয়ে একটি প্রেজেন্টেশন ও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এ প্রযুক্তি ব্যবহারের সুবিধা তুলে ধরেন। প্রতিনিধিদলে ছিলেন হাবা গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হারি সোলোমা, মার্কেটিং ডিরেকটর রোশদি ইব্রাহিম এবং জাহেদুল আলম রবিন।

এসময় চসিক মেয়র বলেন, বর্তমানে নাগরিকরা অনেক সচেতন হওয়ায় চট্টগ্রামের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে অনেক গোছানোভাবে হচ্ছে। তবে আমাদের এখন সাশ্রয়ী, প্রযুক্তিনির্ভর ও পরিবেশবান্ধব বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় যেতে হবে। আমি চাই রাস্তায় থাকা ভাগাড়ের কারণে নাগরিকদের যে ভোগান্তি তা হ্রাসে ২০২৪ সালের মধ্যে চট্টগ্রামের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়ন করতে।

প্রতিনিধিদলে থাকা হাবা গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হারি সোলোমা জানান, চট্টগ্রামে ময়লা ফেলার প্রচলিত পদ্ধতিতে বাসা-বাড়ি থেকে বর্জ্য সংগ্রহের পর রাস্তার ওপরে থাকা বর্জ্য সংগ্রহাগারে (এসটিএস) সে ময়লা ফেলা হয়। পরবর্তীতে সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মীরা সে বর্জ্য সংগ্রহ করে ল্যান্ডফিল্ডে নিয়ে যান। এ পদ্ধতিতে রাস্তার ওপর থাকা এসটিএসের বর্জ্যের দুর্গন্ধে নাগরিকরা কষ্ট পান। একই সঙ্গে রাস্তায় থাকা বর্জ্য দৃষ্টিকটু পরিস্থিতি তৈরি করে।

এ সমস্যা সমাধানে চসিক সম্মত হলে হাবা গ্রুপ ভূগর্ভস্থ বর্জ্য সংগ্রহাগার গড়ে তুলবে, ফলে ময়লা চোখেও পড়বে না এবং দুর্গন্ধও ছড়াবে না। এই আধুনিক বর্জ্য সংগ্রাহাগারে থাকবে হাইড্রলিক প্রেশারের মাধ্যমে ময়লা সংকোচনের প্রযুক্তি। ফলে একই স্থানে আগের তুলনায় দ্বিগুণ বর্জ্য সংগ্রহ করা যাবে। আধুনিক প্রযুক্তির এই বর্জ্য সংগ্রহাগার পূর্ণ হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বার্তা পাবেন সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মীরা। তখন সে বর্জ্য সংগ্রহ করে ল্যান্ডফিল্ডে নিয়ে যাবেন চসিক কর্মীরা। পুরো প্রক্রিয়া একদিকে পরিবেশবান্ধব, অন্যদিকে কমাবে নাগরিক দুর্ভোগ, সাশ্রয় করবে চসিকের জ্বালানি খরচ।

আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে মেয়র চসিকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এ প্রকল্প বাস্তবায়নের সম্ভাব্য স্থান ও বাস্তবায়নযোগ্যতা যাচাই করতে বলেন।

সভায় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আকবর আলী প্রমুখ।

ইকবাল হোসেন/কেএসআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।