রেললাইন বেঁকে যায়নি, অক্টোবরেই উদ্বোধন: রেল সচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ০১:১৩ এএম, ১৯ আগস্ট ২০২৩

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রেললাইন পরিদর্শন করতে গিয়ে রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর বলেছেন, বন্যায় রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত হলেও নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। এতে কোনো প্রভাব পড়বে না।

তিনি বলেন, বন্যায় রেললাইনের তেমন ক্ষতি হয়নি। পানির কারণে স্লিপারের নিচ থেকে পাথর সরে গেছে। কয়েক জায়গায় সামান্য কিছুটা দেবে গেছে। কিন্তু রেললাইন বেঁকে যায়নি। রেললাইনের মাত্র ৫০০ মিটার এলাকার মধ্যে কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

শুক্রবার (১৮ আগস্ট) সকালে সাতকানিয়ার তেমুহনী এলাকায় রেললাইনের ক্ষতিগ্রস্ত স্থান পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

আরও পড়ুন: মেগা প্রকল্পে বদলে যাচ্ছে কক্সবাজার, সুফল মিলবে চলতি বছরেই

এটি পুরো দেশের মানুষের কাছে স্বপ্নের প্রকল্প উল্লেখ করে তিনি বলেন, দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইনে আগামী অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে পরীক্ষামূলকভাবে রেল চলাচল শুরু হবে। অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে এ রেললাইনের উদ্বোধন হবে।

রেলপথ সচিব আরও বলেন, গণমাধ্যমের ছবি দেখে মনে করেছিলাম রেললাইন বেঁকে গেছে। তাই সরেজমিন দেখতে এসেছি। যতটুকু দেখেছি তাতে কোথাও রেললাইন বেঁকে যায়নি। বন্যার পানির কারণে কিছু অংশের পাথর সরে গেছে। কিছু অংশে লাইন সামান্য দেবে গেছে। দূর থেকে দেখলে মনে হবে আঁকাবাঁকা হয়ে গেছে। কাছে গেলে বোঝা যাচ্ছে আসলে বাঁকা হয়নি। তবে টেকনিক্যাল বিষয়টিতে ভালো বলতে পারবে। টেকনিক্যাল টিম এটা নিয়ে কাজ করছে। তাদের প্রতিবেদনের পর দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করা হবে।

সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের যেন ভোগান্তি না হয় সেটা নিশ্চিত করতে চান। রেল যখন কোনো প্রকল্প হাতে নেয় তখন সেখানকার বিগত ১০০ বছরের নদীর গতিপথ, জোয়ার-ভাটা, জীববৈচিত্র্যের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে কি না- সামগ্রিক বিষয় নিয়ে পরিকল্পনা করা হয়।

আরও পড়ুন: যমুনার বুকে দুই কিলোমিটার দৃশ্যমান বঙ্গবন্ধু রেলসেতু

তিনি বলেন, এ রেললাইন প্রকল্পে যা ছিল তার চেয়ে ৪০টি ব্রিজ-কালভার্ট বেশি করা হয়েছে। জনগণের দাবি এবং কাজ করতে গিয়ে বুঝেছি যে এখানে কালভার্ট ব্রিজ বাড়ালে ভালো হবে তখন সেখানে বাড়িয়ে দিয়েছি। এখানে আসার পর আমরা আলোচনা করছি যে তেমুহনী এলাকায় আরও কয়েকটি ব্রিজ-কালভার্ট করে দেবো, ভবিষ্যতে যাতে বন্যার পানি নিয়ে কোনো সমস্যা না হয়। আগামী ১০০ বছরের কথা মাথায় রেখে এ ব্রিজ-কালভার্ট দেওয়া হবে। প্রয়োজন হলে পাথর দিয়ে রেললাইনও উঁচু করা যাবে।

দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন পরিদর্শনকালে সচিবের সঙ্গে রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. কামরুল আহসান, প্রকল্প পরিচালক মফিজুর রহমান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তমা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আতাউর রহমান ভুইয়া, রেলওয়ের প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও ডেপুটি ডিরেক্টর সৌরভ বাবু ও প্রকল্পের টিম লিডার ইস্টিবেন প্রেগনাল ছিলেন।

ইকবাল হোসেন/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।