কার্গো বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার


প্রকাশিত: ০২:৫৩ পিএম, ১৯ মার্চ ২০১৬

নিরাপত্তা ঘাটতির কারণ দেখিয়ে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সরাসরি কার্গো বিমান (পণ্যবাহী উড়োজাহাজ) চলাচলে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে ব্রিটিশ সরকার। শুক্রবার রাতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীকে টেলিফোনে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়টি জানান ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ড।

এসময় বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নয়নে বাংলাদেশের গৃহীত ‘উন্নয়ন পরিকল্পনা’র প্রশংসাও করেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি আশা প্রকাশ করেন, ঢাকা ও লন্ডন সরাসরি যাত্রিবাহী ফ্লাইট পরিচালনায় ভবিষ্যতেও কোনো ধরনের অসুবিধা হবে না।

বিমানবন্দরের নিরাপত্তা উন্নয়ন নিয়ে উদ্যোগ নেয়ার পর শুক্রবার রাতে বাংলাদেশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ড।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ডকে জানান, বিমানবন্দরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ নিয়ে ব্রিটেনের সঙ্গে বাংলাদেশ একযোগে কাজ করতে আগ্রহী বলেও জানান আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাজ্য। নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়ে এর কারণ ব্যাখ্যা করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। একই কারণে গত বছরের নভেম্বরে ঢাকার এ বিমানবন্দর থেকে সরাসরি পণ্যবাহী বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে অস্ট্রেলিয়া।

পণ্যবাহী বিমান সরাসরি চলাচলে সর্বশেষ ব্রিটিশ এ নিষেধাজ্ঞায় নড়েচড়ে বসে মন্ত্রণালয়। ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে উদ্বেগ জানিয়ে দ্রুত এ সমস্যার সমাধানে পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানানো হয়। ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকলে রফতানিতে বিরূপ প্রভাব পড়বে।

এদিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নিরাপত্তার দায়িত্ব পেয়েছে দুই ব্রিটিশ কোম্পানি। বিমানবন্দর নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা দুই কোম্পানি ‘রেড লাইন ও রেস্ট্রাটা’র সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়। আলোচিত দুই কোম্পানির একটিকে নির্বাচিত করে রোববার চুক্তি করতে আগ্রহী সরকার।

আরএম/এসএইচএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।