মশার লার্ভা ধ্বংসে বিটিআই কার্যকরী ভূমিকা রাখবে: মেয়র আতিক

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:২৪ পিএম, ০৭ আগস্ট ২০২৩

 

মশার লার্ভা ধ্বংসে ব্যাসিলাস থুরিনজেনসিস ইসরায়েলেন্সিস (বিটিআই) কার্যকরী ভূমিকা রাখবে বলে জানিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।

সোমবার (৭ আগস্ট) ডিএনসিসির অঞ্চল-৩ এর আওতাধীন গুলশান-২ এলাকায় প্রথমবারের মতো এ কীটনাশক ব্যবহারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘আজ আমাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। গত ৪০ বছর ধরে আমরা কীটনাশক ব্যবহার করতাম মশক নিধনে। কিন্তু, আমরা দেখেছি, অন্যান্য উন্নত বিশ্বে আজ ব্যবহার করছে বিটিআই কীটনাশক। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের বিভিন্ন শহরে এটি ব্যবহার করা হচ্ছে, সিঙ্গাপুরে ব্যবহার করছে, মায়ামি সিটিসহ বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে এ বিটিআই ব্যবহার করছে। বিভিন্ন দেশে দেখার পরে আমরা বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলাপ করে এটা নিয়ে এসেছি। একটি কীটনাশক আনতে সরকারি অনেকগুলো প্রটোকল মেইনটেইন করে আনতে হয়। আমরা সব প্রটোকল মেইনটেইন করে সিঙ্গাপুর থেকে লার্ভা ধ্বংসে কার্যকরী বিটিআই এনেছি। আশাকরি, এটি ব্যবহারে ডেঙ্গুনিয়ন্ত্রণে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।’

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘বিটিআই পরিবেশ রক্ষা করে। অর্থাৎ, এটি যখন আমরা ব্যবহার করছি, এখানে মাছের কোনো ক্ষতি হবে না, জলজপ্রাণির ক্ষতি হবে না। এতে লাভটা কী হচ্ছে? লেকে যে মাছগুলো আছে, এগুলোর কোনো ক্ষতি হবে না। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে ক্ষতিকর লার্ভা ধ্বংস করবে। আমরা অতীতে ড্রেনে গাপ্পি মাছ ছাড়তাম। কিন্তু, এ মাছগুলোকে আমরা বাঁচিয়ে রাখতে পারতাম না। এখন লার্ভাটা মরবে, গাপ্পি মাছগুলো থাকবে। এছাড়া গাপ্পি মাছগুলো আবার লার্ভা খেয়ে ফেলবে। এর ফলে, বায়োলজিক্যাল ট্রিটমেন্ট করতে সুবিধা হবে।’

মেয়র জানান, ডিএনসিসির দশটি অঞ্চলের পুরো টিমকে আগামী পাঁচদিন ট্রেনিং করে কীভাবে এটি প্রয়োগ করতে হয়, সেটি শেখানো হবে।

তিনি বলেন, ‘এ বিটিআই ব্যবহারের একটি বিশেষ সুবিধা রয়েছে। এটি একটি এলাকায় একবার প্রয়োগ করলে দশদিনের মধ্যে সেখানে আর স্প্রে করতে হবে না। এতে আমাদের যে জনবল আছে, আমি আরও অনেক বেশি এরিয়া কাভার করতে পারবো। আগে সপ্তাহে দুবার টেমিফস্ট ব্যবহার করা হতো। অতএব, বিটিআই ব্যবহার করে অনেক জায়গা কাভার কর‍তে পারবো। তবে, যদি বৃষ্টি হয় তাহলে আবার সাতদিন পরপর করতে হবে।’

প্রতিটি অঞ্চলের সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এবং ওয়ার্ডগুলোতর মশক কর্মীদের প্রশিক্ষণের পরে এটি প্রয়োগ করবে। আজ ৩, ৯, ১০ এ তিনটি অঞ্চলের কর্মীরা প্রশিক্ষণ নেবেন। পাঁচদিনের মধ্যে পর্যায়ক্রমে সব অঞ্চলের কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘পুরো প্রয়োগ প্রক্রিয়াটি আমরা মনিটরিংয়ের মধ্যে রাখবো। সঠিক পরিমাণে বিটিআই মিশ্রণ হয়েছে কি না, সঠিক পরিমাণ জায়গায় প্রয়োগ করা হয়েছে কি না।

আমরা প্রথম ধাপে পাঁচ টন বিটিআই এনেছি। এতে তিন মাস চলবে। দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন ভবনের বেজমেন্টে প্রায় ৪৩ শতাংশ লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে। তাই বেজমেন্টেও বিটিআই প্রয়োগের নির্দেশ দিয়েছি। তবে, সিটি করপোরেশনের পাশাপাশি ওষুধ কোম্পানিগুলো বাণিজ্যিকভাবে যদি এটি বাজারজাত করে ওভার দ্যা কাউন্টারে বিক্রির ব্যবস্থা করে তাহলে সবাই নিজেদের বাড়িতে ব্যবহার করতে পারবে।’

এ সময় অন্যান্যের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম শফিকুর রহমান প্রমুখ।

এমএমএ/এমএএইচ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।