চট্টগ্রামে টানা বর্ষণ
জলাবদ্ধতায় চরম ভোগান্তি, বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
ফের হাঁটু পানিতে ডুবলো চট্টগ্রাম মহানগরী। টানা চারদিনের ভারী বর্ষণে নগরীর অনেক এলাকা পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। রোববার রাতভর ও সোমবার বৃষ্টিতে নগরীর নিম্নাঞ্চলগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে। বড় দালানের নিচতলা, বাসাবাড়ি, দোকানপাট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানেও পানি ঢুকে বাসিন্দাদের দুর্ভোগ বাড়িয়েছে। এছাড়া বন্ধ কেরে দেওয়া হয়েছে নগরীর বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
সরেজমিনে দেখা গেছে, টানা বৃষ্টিতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে মহানগরীর অনেক এলাকা। রাস্তাঘাটে পানি জমে থাকায় গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। এতে গন্তব্যে পৌঁছাতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নগরবাসীকে। বিশেষ করে অফিসগামী লোকজনকে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। হাঁটু পানিতে অতিরিক্ত ভাড়ায় রিকশায় গন্তব্যে যেতে হচ্ছে বাসিন্দাদের।
আরও পড়ুন>> হাঁটু থেকে কোমর পানির নিচে চট্টগ্রাম মহানগর
সোমবার (৭ আগস্ট) নগরীর চকবাজার, কাতালগঞ্জ, কাপাসগোলা, বাদুরতলা, শুলকবহর, বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, মোহাম্মদপুর, বাকলিয়ার নিঁচু এলাকা, চান্দগাঁওয়ের শমসের পাড়া, ফরিদার পাড়া, পাঠাইন্যাগোদা, মুন্সীপুকুর পাড়, হালিশহর, হালিশহর আবাসিক কে ব্লক, আই ব্লক, আগ্রাবাদ সিডিএ, শান্তিবাগ আবাসিক এলাকা, ছোটপোল, ফিরিঙ্গিবাজার, রিয়াজ উদ্দিন বাজার, তিন পোলের মাথা, বিমানবন্দর সড়কের ড্রাইডকের সামনের রাস্তাসহ নগরীর অসংখ্য অলিগলি পানিতে তলিয়ে যায়। পাশাপাশি বিগত তিনদিনের ন্যায় এদিনও খাতুনগঞ্জে ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজারের আড়তগুলোতে পানি ঢুকে পেড়ে।
আরও পড়ুন>> চট্টগ্রামে রেকর্ড ৪২৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত
এদিকে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন বিভাগে ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে। সোমবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ২১৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ সুমন সাহা জাগো নিউজকে বলেন, ১২ আগস্ট পর্যন্ত এ ধরনের ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। পাহাড় ধসের আশঙ্কা আরও আগে থেকেই তৈরি হয়েছে।
তিনি বলেন, সক্রিয় মৌসুমি বায়ু উত্তর বঙ্গোপসাগর থেকে সরাসরি চট্টগ্রামের দিকে আসছে। এতে প্রচুর আর্দ্রতা রয়েছে। যে কারণে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
ইকবাল হোসেন/ইএ/এএসএম