পান্না কায়সারের প্রয়াণ বাঙালির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘সংগ্রামী লেখক গবেষক পান্না কায়সার ১৯৭৫ সালের পর হারিয়ে যাওয়া মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে শাণিত করেছেন, তার প্রয়াণ বাঙালির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।’
রোববার (৬ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সদ্যপ্রয়াত মুক্তিযুদ্ধ গবেষক শহীদজায়া পান্না কায়সারের মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের পর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হারিয়ে গিয়েছিল, অবদমিত করা হয়েছিল, সেই প্রতিকূল সময়েও তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে শাণিত করেছিলেন।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘পান্না কায়সার সারাজীবন সংগ্রাম করেছেন। সংসার পাতার দুই বছরের মাথায় স্বামীকে হারিয়েছেন, তারপর তিনি আর নতুন করে সংসার পাতেননি। সন্তানদের মানুষ করেছেন, কষ্ট করেছেন এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে থেকেছেন। আমি ধারণা করিনি যে, এত তাড়াতাড়ি তিনি আমাদের মধ্যে থেকে চলে যাবেন। আমরা তার পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই এবং তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি, স্রষ্টা যেন তাকে চিরশান্তিতে রাখেন।’
১৯৫০ সালের ২৫ মে জন্মগ্রহণকারী পান্না কায়সারের পারিবারিক নাম সাইফুন্নাহার চৌধুরী। গত শুক্রবার ৪ আগস্ট ৭৩ বছর বয়সে বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি ঢাকায় ইন্তেকাল করেন। ১৯৬৯ সালে বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লা কায়সারের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। কিন্তু ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর আলবদর বাহিনী শহীদুল্লা কায়সারকে বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায়। তার আর ফেরা হয়নি।
এরপর থেকে পান্না কায়সার একাই মানুষ করেছেন তার দুই সন্তান শমী কায়সার এবং অমিতাভ কায়সারকে। শিক্ষকতা ও লেখালেখি করেছেন। তার প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে রয়েছে ‘মুক্তিযুদ্ধ: আগে ও পরে’, ‘মুক্তি’, ‘নীলিমায় নীল’, ‘হৃদয়ে বাংলাদেশ’, ‘মানুষ’, ‘রাসেলের যুদ্ধযাত্রা’, ‘না পান্না না চুনি’।
আজীবন শিশু-কিশোর সংগঠন খেলাঘরের নেতৃত্বদানকারী সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক এ সংসদে সদস্য মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণায় অবদানের জন্য ২০২১ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কারে ভূষিত হন।
আইএইচআর/এমএএইচ/জিকেএস