থমথমে জেনেভা ক্যাম্প
দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের জের ধরে পুলিশের সাড়াশি অভিযান, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় ভীতিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানাধীন জেনেভা বিহারি ক্যাম্পে। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনও থমথমে অবস্থা বিরাজ সেখানে।
গত বুধবার রাতে জেনেভা বিহারি ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তার ও মাদক ব্যবসার জেরে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয় বলে জানান তেজগাঁও বিভাগের এডিসি (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. ওয়াহিদুজ্জামান।
তিনি বলেন, মূলত মাদক ও অর্থনৈতিক আধিপত্যের জেরেই এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। তবে দুই গ্রুপে সংঘর্ষ ও পুলিশী অভিযানের কারণে আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বিহারি ক্যাম্পবাসী।
ক্যাম্পবাসীরা বলছেন, কিছু দিন পর পরেই এখানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে । পুলিশ আসে পুলিশ যায় কিন্তু সংঘর্ষ থামে না। কিছু লোকের ব্যক্তিগত স্বার্থের কারণে এখানে সংঘর্ষ ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ করেন তারা।
আলী আজগর নামে এক চা দোকানী বলেন, দুপুরে কেতলি ভরা দুধ গরম করতে চুলায় বসাইছিলাম। দুই গ্রুপের সংঘর্ষ আর লাঠির আঘাতে সবই মাটিতে। আমার এক সপ্তাহের ব্যবসা লাটে। এসব কে দেখবে বলেন।
ঘটনার সূত্রপাত সম্পর্কে পুলিশ জানায়, গত রাত ১২টার দিকে ঘটনার সূত্রপাত। প্রথমে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এরপর আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে আবারো সংঘর্ষ শুরু হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়ার পথে বাধার সম্মুখীন হয় পুলিশ। উভয় পক্ষই পুলিশকে উদ্দেশ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে তিন জন পুলিশ সদস্য আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে চাকু ও বিপুল পরিমাণ ইট উদ্ধার করে পুলিশ।
বিহারি ক্যাম্পের কাপড়ের দোকানদার নিছার আলী জানান, ভয়ে দোকান বন্ধ করে দিয়েছি। কখন কে কোথা থেকে দোকানে হামলা না করে বসে। পুলিশও লাঠিসোটা নিয়ে শো ডাউন দিয়ে যাচ্ছে। আর এখন পর্যন্ত কোনো ঘটনাটিরই সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার হয়নি। উল্টো নিরীহ কিছু লোককে জেলে নিয়ে গেছে পুলিশ।
তেজগাঁও বিভাগের এডিসি (ক্রাইম এন্ড অপস) মো. ওয়াহিদুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, অভিযান শেষ হলেও পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পরিস্থিতি পুরোপুরি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। কে কোথায় কি নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা যাতে বিঘ্নিত না হয় তাও দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
জেইউ/এসকেডি/পিআর