স্ত্রীর সঙ্গে সখ্যতা গড়ে স্বামীর সঙ্গে পরকীয়া
প্রতারণার অভিযোগে একটি চক্রের নারীসহ তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) মিরপুরসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার ৩ জন হলো, মায়া তানিয়া (২১), নাজমুল হোসেন (২২) ও তানভীন মাহতাব (২৫)।
মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন জানান, চক্রটির নারী সদস্য মায়া তানিয়া প্রথমে অন্যের স্ত্রীর সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন। পরে তার কাছ থেকে কৌশলে স্বামীর নম্বর নিয়ে পরকীয়া করেন। এরপর সুযোগ বুঝে নিজেদের আস্তানায় ডেকে জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় করতো চক্রটির সদস্যরা।
তিনি আরও জানান, গ্রেফতার তানিয়া প্রথমে বিভিন্ন পুরুষের সঙ্গে ফোনে ভাব জমিয়ে কৌশলে বাসায় ডাকেন। বাসায় আগে থেকেই অবস্থান করতো চক্রের পুরুষ সদস্য গ্রেফতার নাজমুল ও মাহতাব। এরপর তানিয়ার ডাকে আসা ব্যক্তিকে আটকে মারধরের পর হাত-পা বেঁধে ফেলা হতো। ভুক্তভোগীদের নগ্ন করে তানিয়ার সঙ্গে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ধারণ করা হতো। এরপর সেই ছবি-ভিডিও ফাঁসের ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করা হতো।
ওসি মহসীন আরও জানান, সম্প্রতি এমনই মুন্না নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা আদায় করার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়। চক্রের নারী সদস্য তানিয়া প্রথমে মুন্নার স্ত্রী আসমার সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন। আসমা একবার তানিয়ার মোবাইল থেকে ফোন দিয়ে স্বামীর সঙ্গে কথা বলেন। এভাবেই তানিয়া মুন্নার ফোন নম্বর পেয়ে যান। এরপর সেই নম্বরে ফোন করে মুন্নার সঙ্গেও ভাব জমিয়ে ফেলেন তানিয়া। সবশেষ তাকে মিরপুরে দেখা করতে বলেন। দেখা করতে গেলে সেখানে আগে থেকেই থাকা নাজমুল ও মাহতাব ভুক্তভোগীকে মারধর করে হাত-পা বেঁধে ফেলে। পরে নগ্ন করে ছবি তুলে তার কাছে এক লাখ টাকা দাবি করে। অনেক দেন দরবারের পর ২০ হাজার টাকায় রাজি হয় মুন্না। এদিকে, তার স্ত্রী পুলিশকে জানিয়ে দেয় ঘটনাটি।
পরে পুলিশের কৌশলে টাকা নিতে আসেন মাহাতাব। এরপর তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলে পুলিশ। তার দেওয়া তথ্যেরভিত্তিতে বাকিদের গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার করা হয় জিম্মি থাকা মুন্নাকে।
গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
টিটি/এসএনআর/এএসএম