ইসি আহসান হাবিব

দূর থেকে কাশবন ঘন লাগে, কাছে গেলে ফাঁকা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:২৮ পিএম, ১৭ জুলাই ২০২৩
ফাইল ছবি

ভোটগ্রহণ কার্যক্রম সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে করতে চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে উল্লেখ করেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আহসান হাবিব খান।

তিনি বলেন, দূর থেকে কাশবন ঘন লাগে। কাছে গেলে ফাঁকা ফাঁকা লাগে। আপনারাই (সাংবাদিকরা) কিন্তু আমাদের মুভমেন্ট কার্যক্রম কাছ থেকে দেখেছেন। আপনাদের কী মনে হয় আমাদের আন্তরিকতার ঘাটতি ছিল। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। তবে ভোটার উপস্থিতি কম হতে পারে।

সোমবার (১৭ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনের বিষয়ে এসব কথা বলেন আহসান হাবিব।

আরও পড়ুন: ভোট বর্জন করবো না, শেষ পর্যন্ত দেখবো: হিরো আলম

তিনি বলেন, আমরা চ্যালেঞ্জের মধ্যে বেনাপোল নির্বাচন করছি। সেখানে ১২ বছর ধরে নির্বাচন হচ্ছে না। আরেকটা হচ্ছে ভান্ডারিয়া। অনেক মামলার মধ্য দিয়ে অবশেষে আল্লাহর রহমতে এখানেও ভোট হচ্ছে। কী পরিমাণ ভোটার ওখানে হাজির হয়েছে এবং কী সুন্দর ভোট হচ্ছে সেটা আমরা সিসি ক্যামেরায় দেখতে পাচ্ছি। আমরা কিন্তু ক্ষণে ক্ষণে সবার সঙ্গে কথা বলছি। তারা বলছে ভালো ভোট হচ্ছে। ওইখানকার রিকোয়েস্টের ভিত্তিতেই কিন্তু আমরা ইভিএম ও সিসি ক্যামেরা দিয়েছিলাম। বেনাপোলের সিসি ক্যামেরা ওকে। ওয়ার্কিং ফাইন।

আরও পড়ুন: ঢাকা-১৭ আসনে ভোট: সিসি ক্যামেরায় চোখ ইসির

এই নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, ভান্ডারিয়ায় কিছু কিছু মিসক্রিয়েন্ট হয়েছে। গতকাল রাতে সিসি ক্যামেরার ক্যাবল কেটে দিয়েছে। কাটা পড়েছে বললাম না। সকাল থেকে ডিসি, এসপি, গোয়েন্দা সংস্থা লাগিয়ে চেক করেছি এবং ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করার চেষ্টা করেছি। এতে কিন্তু ভোটের অসুবিধা হচ্ছে না। ইভিএমে যেহেতু সুযোগ নাই, দুই পক্ষই উপস্থিতিতে ব্যালেন্স করছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা চিন্তা করেছিলাম গাজীপুরে কাটাকাটি হবে। কিন্তু দেখলাম সেই কাটাটা হচ্ছে ভান্ডারিয়ায়। এটা আমরা খুঁজে বের করবো। কে কখন কারা কীভাবে কোন পক্ষের হয়ে এ জিনিস করেছে। আমি নির্দিষ্টভাবে এসপিকে দায়িত্ব দিয়েছি। ডিবির কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দিয়েছি। রাস্তায় অনেক ফুটেজ থাকে সিসি ক্যামেরা থাকে, কোনো কোনো বাসায় থাকে। এটা খুঁজে বের করার জন্য বলেছি। এছাড়া কোনো প্রকার আর কিছু হয়নি।

আরও পড়ুন: গুলশানে চেকপোস্ট-প্রবেশ পথে পুলিশের তল্লাশি

এক প্রশ্নের জবাবে ইসি আহসান হাবিব বলেন, চার-পাঁচটা কেন্দ্রের সিসি ক্যামেরার ক্যাবল কাটা হয়েছে। এটা এজন্য বললাম যে, তার কেটে সরিয়ে নিয়ে গেছে, যেন সহজে এটা ঠিক করা না যায়। সেই পাঁচটা কেন্দ্রে আমাদের পাঁচজন পর্যবেক্ষক দিয়েছি। তো ওইটা নিয়ে আমাদের চিন্তা না।

সাংবাদিকদের কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়নি এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এই অভিযোগটা পেয়েছি। ক্যান্টনমেন্ট কেন্দ্রে সাংবাদিককে মোবাইল নিয়ে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এটার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেখানে খুশি সেখানে যেতে পারবে, শুধুমাত্র গোপন কক্ষ ছাড়া। কাজেই এটা অন্যায় হয়েছে। এর বিচার হওয়া উচিত।

এমওএস/জেডএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।