ইসির নিবন্ধনে টিকে রইলো বিএনএম ও বিএসপি
১০ দলকে টপকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধনে টিকে রইলো বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) ও বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টি (বিএসপি)। আর এক ধাপ টপকাতে পারলেই ইসির চূড়ান্ত নিবন্ধন পাবে দল দুটি।
রোববার (১৬ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে কমিশন সভা শেষে এ তথ্য জানান ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম। সভা সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশন (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। সভায় ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের বিস্তারিত তথ্য জানান।
ইসি সচিব বলেন, যাচাই-বাছাই শেষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) ও বাংলাদেশ সুপ্রীম পার্টির (বিএসপি) নিবন্ধনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। এ লক্ষ্যে দল দুটিকে নিয়ে আগামীকাল পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। ২৬ জুলাইয়ের মধ্যে কারওি কোনো আপত্তি থাকলে তা নিষ্পত্তি করে কমিশন পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। আপত্তি নিষ্পত্তির পরে কমিশন সন্তুষ্ট হলে দল দুটিকে নিবন্ধন দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন> ভোট বন্ধে ইসির ক্ষমতা কমিয়ে বিল পাস
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ধাপে ধাপে যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে অফিস থাকার কথা, কমিটি থাকার কথা, জনবল থাকার কথা এগুলো সব যাচাই করেছি। পুনরায় যাচাই করে এই দুটি দলের আইন অনুযায়ী সবকিছু থাকায় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। এরপরই চূড়ান্ত হবে যে, কারা কারা নিবন্ধন পাবে। বাকি ১০টি দল যে তথ্য দিয়েছে মাঠ পর্যায়ে যাচাই করে গড়মিল পাওয়ায় তাদের আবেদন বাতিল করা হয়েছে।
জানা গেছে, নতুন দল হিসেবে নিবন্ধন পাওয়ার সংক্ষিপ্ত তালিকায় ১২টি রাজনৈতিক দল রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে- এবি পার্টি (আমার বাংলাদেশ পার্টি), বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম), বাংলাদেশ হিউম্যানিস্ট পার্টি (বিএইচপি), গণঅধিকার পরিষদ, নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশ সনাতন পার্টি (বিএসপি), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি (বিএমজেপি), বাংলাদেশ পিপলস পার্টি (বিপিপি), ডেমোক্রেটিক পার্টি ও বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (বিএলডি)। ওইসব রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় কমিটি ও মাঠপর্যায়ের কার্যালয় সক্রিয় রয়েছে কি না তা দুই দফা যাচাই করেছে নির্বাচন কমিশন। ওই দুই দফার প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে নতুন দল নিবন্ধন দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন> ইসির নিবন্ধনে টিকলো না গণঅধিকার পরিষদ
আইন অনুযায়ী, নিবন্ধন পেতে ২১ জেলা ও ১০০ উপজেলা বা থানায় কার্যকরী কমিটি ও কার্যালয় এবং প্রতিটি উপজেলায় দলের অন্তত ২০০ ভোটার থাকার নিয়ম রয়েছে। নির্বাচন কমিশন দুই দফায় এসব দলের মাঠ কার্যালয় ও কমিটি যাচাই করেছে। ওই দুই ধাপে পাওয়া প্রতিবেদন রোববার কমিশন সভায় তোলা হয়েছে। এতে যারা শর্ত পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী তারা নিবন্ধন পাওয়ার জন্য বিবেচিত হয়েছে।
এমওএস/এসএনআর/জেআইএম