ওয়েবসাইটের দুর্বলতায় তথ্য ফাঁস, দায় এড়ানোর সুযোগ নেই: পলক
লাখ লাখ নাগরিকের তথ্য ফাঁস হওয়া সরকারি ওয়েবসাইটটি নিজে থেকেই ভঙ্গুর ছিল বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী (আইসিটি) জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, আমরা দেখেছি, কারিগরি ত্রুটি ছিল। যে কারণেই তথ্যগুলো মানুষের কাছে উন্মুক্ত হয়ে পড়ে। এ দায় এড়ানোর সুযোগ নেই।
রোববার (৯ জুলাই) বঙ্গবন্ধু ইন্টারন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি অ্যাওয়ারনেস অ্যাওয়ার্ড প্রোগ্রামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারের বিসিসি অডিটরিয়ামে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগে সাইবার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ব্যয় সাশ্রয়কেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হতো। এখন বোঝা যাচ্ছে, উপাত্ত হতে যাচ্ছে নতুন মুদ্রা। আমাদের ব্যয় সাশ্রয় করতে হবে, পাশাপাশি উপাত্ত সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুন>> সরকারি ওয়েবসাইট হ্যাক হয়নি, দুর্বলতা ছিল: পলক
মানুষকে সচেতন করা, তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সক্ষমতা ও দক্ষ জনবল বাড়ানো, আইন ও নির্দেশিকার বাস্তবায়নের ওপর জোর দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২৯টি ‘গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো’র প্রতিটির একটি করে নিরাপত্তা দল থাকা উচিত।
তবে সরকারি সংস্থাগুলোর নিরাপত্তা দুর্বলতার কথাও উঠে আসে প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যে। তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীন গত বছরের অক্টোবরে ২৯টি প্রতিষ্ঠানকে ‘গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ই-মেইল করা হয়। দুঃখজনকভাবে কেউ কেউ জবাব দেয় না। নির্দেশনা অনুসরণ করে না।
আরও পড়ুন>> বাংলাদেশের সরকারি ওয়েবসাইট থেকে লাখ লাখ নাগরিকের তথ্য ফাঁস)
পরে সাংবাদিকদের প্রতিমন্ত্রী বলেন, কেউ বলতে পারবে না তারা পুরো নিরাপদ, তবে প্রস্তুতি থাকতে হয়। এবারের ঘটনার ক্ষেত্রে ন্যূনতম প্রস্তুতি ছিল না। এ দায় তো কেউ এড়াতে পারবে না। আগে থেকে প্রস্তুতি থাকলে তারপর ঘটনা ঘটলে কিছু বলা যায়। কিন্তু যথাযথ প্রস্তুতি না নেওয়ার পর ক্ষতি হয়ে গেলে সেই দায়ভার এড়ানো যায় না।
অনুষ্ঠানে আইসিটি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সির মহাপরিচালক আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান, হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
এর আগে মার্কিন প্রযুক্তিবিষয়ক সংবাদমাধ্যম টেকক্রাঞ্চ এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারের একটি ওয়েবসাইট থেকে নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে রয়েছে নাগরিকদের নাম, ফোন নম্বর, ইমেইল ঠিকানা ও জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর।
এনএইচ/ইএ/জিকেএস