বর্ডার দিয়ে কেউ চামড়া নিয়ে আসতে-যেতে পারবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:২৬ পিএম, ০২ জুলাই ২০২৩

কোরবানির পশুর কাঁচা চামড়া পাচার রোধে সীমান্ত এলাকা তথা বর্ডার দিয়ে কেউ চামড়া নিয়ে আসতেও পারবে না এবং যেতেও পারবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

রোববার (২ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

চামড়া পাচার বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের বর্ডার ঠিক আছে। চামড়া নিয়ে কেউ আসতেও পারবে না যেতেও পারবে না। এবার একটি অসুবিধা হলো, সরকার নির্ধারিত দামের চেয়েও কম দামে কাঁচা চামড়া বিক্রি হয়েছে। এর কী সুফল ব্যবসায়ীরা পাবেন সেটি তারাই ভালো বলতে পারবেন।

আরও পড়ুন: দেশ থেকে চামড়া পাচারের সুযোগ নেই: বাণিজ্য সচিব

হঠাৎ করেই কাঁচা মরিচের দাম এক হাজার টাকা কেজিতে উঠেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সংসারে রান্নায় কাঁচা মরিচের ব্যবহার সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, শুধু কাঁচা মরিচ দিয়ে তো কারও সংসার চলে না। চাল, ডাল নিয়ে আপনারা জিজ্ঞেস করতে পারেন।

আওয়ামী লীগ সরকার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে চলে, সেই জনগণই বাজারে গিয়ে দেখে কাঁচা মরিচের কেজি ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা। এ বিষয়টি সরকার কীভাবে দেখছে, জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জনগণ ভালো করে জানে এ মৌসুমে বৃষ্টি বা বন্যা হলে কাঁচা মরিচের সংকট তৈরি হয়। কারণ, বাজারে সরবরাহ কমে যায়। সেজন্য বাসাবাড়িতে অনেকে টবে কাঁচা মরিচের চারা রোপন করেন। বৃষ্টি-বন্যা কমে গেলে কাঁচা মরিচের দামও নরমাল হয়ে যাবে৷

রাজধানীতে বিভিন্ন স্থানে ছিনতাই বাড়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো দুর্বলতা আছে কি না- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, নাই বলেই তো দুটি ঘটনা ঘটেছে। এরকম কিছু হলে আমি এ প্রসঙ্গটা এড়িয়ে যেতাম। আমি স্পষ্ট করে বললাম, এ দুটি ঘটনা সাতদিনের মধ্যে ঘটেছে। যেটা অনাকাঙ্ক্ষিত, যেটা হওয়া উচিত হয়নি। আমরা মনে করি যে কারো যদি দুর্বলতা থাকে আমাদের কমিশনার কিছুক্ষণ আগে এসছিলেন তিনি এটা সিরিয়াসলি নিচ্ছেন। যে কারো দুর্বলতা থাকলে সেটা তিনি দেখছেন এবং ব্যবস্থা নেবেন। এ ব্যবস্থাটা আমরা করে ফেলছি।

আরও পড়ুন: চামড়া কিনে এবারও লোকসানের শঙ্কায় মৌসুমি ব্যবসায়ীরা

বিএনপির সুপার পাওয়ার নিয়ে সরকার পতনের আন্দোলন বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সুপার পাওয়ার কাকে বলে সেটা আমরা বুঝি না। আমরা যাকে সুপার পাওয়ার বলি, সেটা হলো জনগণ। জনগণই হলো সুপার পাওয়ার। তাদের ওপর কোনো সুপার পাওয়ার নেই। আমরা যেটা মনে করি জনগণকে যদি সঙ্গে না নিয়ে কোনো কিছু হয় তবে সেটা কোনোদিন সফল হবে না। আমরা জনগণের সঙ্গে আছি, জনগণের শক্তিতেই আমরা চলি।

ঈদে বাস ভাড়া বেশি নেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটা যোগাযোগমন্ত্রী মহোদয় বলতে পারবেন। আমরা সবকিছু নিয়ে আলাপ করি। গার্মেন্টসের বেতন-বোনাস যেন সময়মতো হয়ে যায় সেটা নিয়েও আলোচনা করি। রাস্তায় খানাখন্দ থাকলে রোডস অ্যান্ড হাইওয়েকে জানাই। আমরা আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি যেমন দেখি ঘরমুখো মানুষের নিরাপদ যাত্রার বিষয়েও কথা বলি।

আরও পড়ুন: সংরক্ষণ ত্রুটিতে প্রতিবছর ৩০ শতাংশ চামড়া নষ্ট হয়

বাড়তি ভাড়ার বিষয়ে তিনি আরও বলেন, মালিক সমিতি বলেছে, ঈদযাত্রায় একটি বাস যখন ঢাকা থেকে কোনো এলাকায় ছেড়ে যায় তখন যাত্রীতে পরিপূর্ণ থাকে। কিন্তু ফেরার সময় একদম ফাঁকা আসতে হয়। সেটা পুষিয়ে নেওয়ার দাবি ছিল তাদের। যদিও এটি সবসময় যোগাযোগ মন্ত্রণালয় নির্ধারণ করে থাকে। তারাই সদুত্তর দিতে পারবে।

আইএইচআর/এমকেআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।