রিকশা থামিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকে চড়থাপ্পড়, ভিডিও ভাইরাল

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ০৪:১৩ পিএম, ০২ জুলাই ২০২৩

চলন্ত রিকশা থামিয়ে চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি রতন চৌধুরীকে চড়থাপ্পড় মেরেছেন দুই যুবক। এ দৃশ্য মোবাইল ক্যামরায় ভিডিও ধারণ করে ফেসবুকে পোস্ট করা হয়। ভিডিওটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

শনিবার (১ জুলাই) ‘রতন চৌধুরীর বাপ’ ও ‘খুলে দাও মুখোশ’ নামের দুই ফেসবুক আইডি থেকে রতন চৌধুরীকে চড়থাপ্পড় মারার ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। এতে ‘রতন চৌধুরীর বাপ’ নামের ফেসবুক আইডিতে ভিডিওটির ক্যাপশন দেওয়া হয়েছে ‘রতন চৌধুরীকে দিয়ে শুরু বাকিরা প্রস্তুত থাক। খেলা মাত্র শুরু হয়েছে।’

ভিডিওটিতে দেখা যায়, একজন গায়ে গেঞ্জি ও চোখে কালো চশমা পরিহিত যুবক চলন্ত রিকশাকে পেছন থেকে টেনে ধরে গতিরোধ করেন। এরপর আরেকজন শার্ট পরিহিত যুবকসহ দুজনে মিলে রিকশায় বসা রতন চৌধুরীকে পরপর পাঁচ-ছয়টি চড়থাপ্পড় মারেন। এসময় রতন চৌধুরী রিকশা থেকে নেমে দৌঁড়ে চলে যান। পুরো দৃশ্যটি মোবাইলে ভিডিও ধারণ করেন অন্য এক বা একাধিক ব্যক্তি। ফেসবুকে পোস্ট করা ভিডিওটি একদিনে ১২ হাজার ভিউ, শতাধিক শেয়ার, কমেন্ট ও রিয়েক্ট পড়েছে।

এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে রতন চৌধুরীর মোবাইলফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল সংযোগ বন্ধ পাওয়া গেছে। ফলে ঘটনার বিস্তারিত জানা যায়নি।

শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি মো. ইউনুচ আজম খোকন বলেন, ঘটনাটি নগরীর কোতোয়ালি থানার জেল রোড এলাকায় সংগঠিত হয়েছে। ওই রোড দিয়ে রতন চৌধুরী বাসায় যাতায়াত করেন। সম্ভবত হেনস্তার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়ে ভিডিও ধারণা করা হয়েছে। বর্তমানে রতন চৌধুরী চিকিৎসার জন্য ভারতে অবস্থান করছেন। তিনি গত ২৫ জুন ভারতে গিয়েছেন।

তিনি জানান, ছিনতাইকারী কবলে পড়েছেন মনে করে এতদিন আইনি কোনো ব্যবস্থা নেননি রতন চৌধুরী।

উপজেলা কৃষক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক বকুল বলেন, সম্ভবত এটি ৩-৪ মাস আগের ঘটনা। ছিনতাইকারীর কবলে পড়েছেন মনে করে বিষয়টি গোপন ছিল। ঘটনার ভিডিও ধারণ করে ফেসবুকে ভাইরাল করায় এটি পরিকল্পিত ঘটনা-পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে।

এ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করা গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে প্রতিপক্ষের লোকজন এঘটনা ঘটিয়েছে। অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন পরবর্তী সময়ে প্রতিপক্ষের ক্ষোভের শিকার হয়েছেন তিনি।

শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোকারম এ বিষয়ে বলেন, রতন চৌধুরী এখন ভারতে রয়েছেন। তিনি দেশে আসলে ঘটনার বিস্তারিত জেনে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. নুরুল আমিন চৌধুরী বলেন, এটি নিন্দনীয় ঘটনা। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

ইকবাল হোসেন/এমআইএইচএস/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।