চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের ভিড় কম, বৃষ্টিতে ভোগান্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৩৩ পিএম, ৩০ জুন ২০২৩

পবিত্র ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিনে বৃষ্টি বাধায় ভোগান্তির শিকার হয়েছেন চিড়িয়াখানার দর্শনার্থীরা। শুক্রবার (৩০ জুন) দুপুরের পর চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের ভীড় বাড়তে থাকে। তবে কিছুক্ষণ পরপর হওয়া ঝুম বৃষ্টিতে দর্শনার্থীরা পড়েন বিপাকে।

দর্শনার্থীদের বিশ্রামাগারের দিকে ছুটে যেতে দেখা যায়। কেউ কেউ পুরো চিড়িয়াখানা না ঘুরেই ফিরে যান। জামা-কাপড় ভিজে অনেকেই অপ্রস্তুত হতে দেখা গেছে।

কোরবানি ও বৃষ্টির কারণে ঈদের প্রথম দিন চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীর সংখ্যা ছিল কম। ঈদের দ্বিতীয় দিনেও বৃষ্টির বাগড়া ছিল। ফলে অন্যান্য ঈদের তুলনায় এবার দর্শনার্থীর চাপ কিছুটা কম।

সরেজমিনে দেখা যায়, চিড়িয়াখানার মূল ফটকের সামনে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভীড় ছিল না। টিকিট কাউন্টার থেকেও নির্বিঘ্নে টিকিট সংগ্রহ করা গেছে। চিড়িয়াখানার বাইরে হকারদের উপস্থিতি ছিল কম। তবে বৃষ্টির পানি ও কাদা জমে ছিল চিড়িয়াখানার সামনের মূল সড়কে।

এছাড়া ভেতরেও পশুপাখির খাচাগুলোর সামনে দর্শনার্থীর চাপ কিছুটা কম। চাপ কম থাকায় বিকেলে অনেকটা স্বস্তি নিয়েই পরিবার-পরিজন, বন্ধুবান্ধব নিয়ে ঘুরে দেখতে পারছেন। তবে সাড়ে ৩টার পর একটানা বৃষ্টি শুরু হলে যে যেদিক পারে দৌড়ে বিশ্রামাগারের দিকে ছুটেছেন।

বেলী, জুই ও জবা নামের তিন বাঘিনীর খাচার সামনে কথা হয় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তা আজমত মোসাদ্দেকের সঙ্গে। স্ত্রী, বোনকে নিয়ে ঈদের দিন মুন্সিগঞ্জ থেকে ঢাকায় এসেছেন এক আত্মীয়ের বাসায়। গতকাল তারা কোথাও যাননি। আজকে চিড়িয়াখানায় ঘুরতে আসেন তিনি।

আরও পড়ুন: নেত্রকোনার ৫৭ নদী অস্তিত্ব সংকটে

মোসাদ্দেক বলেন, মোহাম্মদ পুর থেকে এসেছি। কাল বৃষ্টি দেখে আসিনি। আজকেও এসে বৃষ্টির মধ্যে পড়েছি। বাঘ, বানর, ভাল্লুক, সিংহের খাচা ঘুরে জিরাফের খাচার দিকে যাচ্ছিলাম, তখনই বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ঝুম বৃষ্টিতে আমরা সবাই ভিজে গেছি।

চিড়িয়াখানার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বলছেন, গতকাল সারাদিন বৃষ্টি হয়েছে। আজকেও সকাল থেকে থেকে আকাশ মেঘলা। আগামীকাল থেকে অফিস আদালত খুলে যাবে। এ কারণে এবার ঈদে দর্শনার্থী পেলো না চিড়িয়াখানা।

কোলে করে মেয়েকে লোনা পানির কুমির দেখাচ্ছিলেন রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে আসা মিজান হোসেন। তিনি বলেন, ঈদের প্রথম দিন কুরবানির জন্য বাচ্চাদের সময় দিতে পারিনি। কোথাও যাওয়া হয়নি। আজকে সময় পেয়ে মেয়ে ও শ্যালককে চিড়িয়াখানায় ঘুরতে আসলাম। বাচ্চারা খুশি। দুপুরে এসেছি। তার একটু পরই একবার বৃষ্টিতে আটকা পড়ি। বিকেলে আবার আটকা পরলাম। এখনও অনেক দেখা পশু দেখা বাকি। ইচ্ছা আছে সব খাচা দেখে যাওয়ার।

এসএম/এমআরএম/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।