ঢাকার বহুতল ভবন এখন গোয়ালঘর!
আর মাত্র একদিন পরই সারাদেশে উদযাপন হবে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ। এরই মধ্যে ধর্মীয় রীতি মেনে সামর্থ্য অনুযায়ী কোরবানির পশু কিনতে শুরু করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। কোরবানির ঈদ ঘিরে অন্যান্য বছরের মতো এবারও পাল্টে গেছে রাজধানী ঢাকার দৃশপট। রাস্তায় কিংবা বাসাবাড়ির অলিগলিতে, প্রায় সর্বত্র এখন চোখে পড়ছে কোরবানির গরু-ছাগল। কোরবানির উদ্দেশে কেনা এসব পশু বেঁধে রাখা হচ্ছে বাসার সামনে কিংবা ভেতরের গ্যারেজে। ফলে ঢাকার বহুতল ভবনগুলোর সামনের আঙিনা বা ভেতরের গ্যারেজ এখন অনেকটাই গোয়ালঘরের রূপ নিয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে দেখা গেছে, বেশ কিছু বাড়ির সামনে ও গ্যারেজে গরু-ছাগল বাঁধা রয়েছে। ঢাকার বিভিন্ন হাট থেকে কোরবানির উদ্দেশে এসব গরু-ছাগল কেনা হয়েছে। বনশ্রী এলাকায় বাসাবাড়ির সামনেই কোরবানির পশুর হাট বসাতে দেখা গেছে। এতে স্থানীয় বাসিন্দাদের ভোগান্তি যেমন পোহাতে হচ্ছে, এ নিয়ে তাদের অনেকে ক্ষোভ প্রকাশও করছেন।
বাসাবাড়ির মধ্যে গরুর হাট বসায় বিরক্তি প্রকাশ করেন কেউ কেউ। বনশ্রী মেরাদিয়া এলাকার বাসিন্দা ফিরোজ আলম জাগো নিউজকে বলেন, চার-পাঁচদিন ধরে বাসার সামনে গরুর হাট বসেছে। এসব হাটে আনা গরু রাস্তায় এমনভাবে বেঁধে রাখা হয়েছে, বাসা থেকে বের হওয়া যায় না। আবার পশুর মল-মূত্রের দুর্গন্ধে বাসার ভেতরও থাকা যাচ্ছে না। কদিন ধরেই আমরা খুব কষ্টে আছি। এভাবে বাসাবাড়ির সামনে গরুর হাট বসতে দেওয়া উচিত না।
রামপুরার বাসিন্দা মো. মামুন বলেন, গতকাল (সোমবার) বাড়ির মালিক কোরবানির গরু কিনেছেন। সেই গরু বাসার গ্যারেজে রাখা হয়েছে। আমরা পাঁচজন ভাড়াটিয়া মিলে একটি গরু কিনবো। বাড়ি মালিকের সঙ্গে কথা বলেছি, তিনি গরু গ্যারেজে রাখার অনুমতি দিয়েছেন।
রামপুরার একটি বাড়ির মালিক মহিউদ্দিন খান জাগো নিউজকে বলেন, আমরা প্রতিবছর কোরবানির গরু কিনে গ্যারেজে রাখি। কিছু করার নেই। ঢাকায় তো গরু রাখার আলাদা গোয়াল ঘর নেই। তাই কোরবানির সময় বাধ্য হয়ে গ্যারেজকে গোয়াল ঘর বানাতে হয়।
মালিবাগ এলাকা ঘুরেও দেখা গেছে একই চিত্র। বিভিন্ন বাসার নিচতলায় গরু বেঁধে রাখা হয়েছে। ওই এলাকার বাসিন্দা মাহাবুবুল রহমান বাবু বলেন, সোমবার তিন লাখ টাকা দিয়ে কোরবানির গরু কিনেছি। কিছু সময় গরু বাসার সামনে বেঁধে রাখি। রাতে গ্যারেজে রেখেছি। ঢাকায় যারা কোরবানি দেন সবারই এক অবস্থা।
এমএএস/এমকেআর/এএসএম