জাতিসংঘের শান্তিরক্ষাপ্রধান
শান্তিরক্ষা মিশনে নারীর সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে
শান্তিরক্ষা মিশনে নারীদের সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের শান্তি অভিযানের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জিন পিয়েরে ল্যাক্রোইক্স।
সোমবার (২৬ জুন) দুপুরে ঢাকার একটি পাঁচতারকা হোটেলে ‘ইউএন পিসকিপিং মিনিস্টিরিয়াল প্রিপারেটরি মিটিং অন উইমেনইন পিসকিপিং’ কর্মসূচির সমাপনী অধিবেশনে তিনি এ কথা জানান।
পিয়েরে ল্যাক্রোইক্স বলেন, গেল ৭৫ বছর ধরে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশন দায়িত্ব পালন করে আসছে। ভবিষ্যতের জন্যও এই মিশন গুরুত্বপূর্ণ, এখন তা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। শান্তিরক্ষা মিশনে নারীদের অর্থবহ ও সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিতের জন্য প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হবে।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ মিশনেও সমুজ্জ্বল ‘দেশের নারী পুলিশ’
কর্মস্থল নারীদের জন্য নিরাপদ, সুষ্ঠু ও মর্যাদাপূর্ণ করতে শান্তিরক্ষা মিশনসহ প্রয়োজনীয় সব জায়গাতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে হবে বলে জানান জাতিসংঘের শান্তিরক্ষাপ্রধান।
তিনি বলেন, জাতীয় নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ও জাতিসংঘের শান্তি মিশনে অবশ্যই লিঙ্গ সংবেদনশীল কর্মপরিবেশ তৈরি করতে হবে। নারীদের যৌন হয়রানি বন্ধে জাতিসংঘের মহাসচিবের শূন্য সহনীয় নীতি বাস্তবায়নে আমরা কঠোরভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছি। সদস্য দেশগুলোও তা করবে বলে আমরা প্রত্যাশা করছি।
এছাড়া যৌন হয়রানি, বৈষম্য ও নিগ্রহের অভিযোগগুলোকে গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে বলে জানান ল্যাক্রোইক্স।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত বলেন, লিঙ্গ সমতা প্রতিষ্ঠায় সব সময় অগ্রাধিকার দিয়ে এসেছে বাংলাদেশ। মিশনের সব কার্যক্রমে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা দরকার। বিশ্লেষণ, পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নসহ সব ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ দরকার আছে।
আরও পড়ুন: শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশি নারীরা দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছেন
তিনি জানান, গেল দুদিনে জাতিসংঘের শান্তি মিশনে নারীদের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি, বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ ও বাধার মোকাবিলা, বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর ভূমিকা নিয়ে সফল আলোচনা হয়েছে।
শান্তিরক্ষা মিশনে নারীদের উপযুক্ত কর্মপরিবেশ তৈরিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া উচিত উল্লেখ করে মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত বলেন, শান্তিরক্ষা মিশনে নারীর অংশগ্রহণের পরিবেশ তৈরি নিয়ে সবাই কথা বলেছেন। কাজেই সে ক্ষেত্রে লিঙ্গ সংবেদনশীল নেতৃত্ব, কর্মপরিবেশ ও অবকাঠামো নিশ্চিত করতে হবে। দক্ষিণ সুদানে জাতিসংঘের মিশনে (আনমিস) অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতির মধ্যে আমাদের নারী বিচারকেরা দায়িত্ব পালন করেছেন। এসব জায়গায় নারীদের উপযুক্ত কর্মপরিবেশ তৈরিতে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
এই কূটনীতিক বলেন, শান্তিরক্ষা মিশনে সংখ্যা ও গুণগত দুদিক থেকেই নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানো নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কথা বলে আসছি। এখন নারী শান্তিরক্ষীদের সংখ্যা বাড়ানোর দিকে যেমন জোর দিতে হবে, তেমনই কমান্ডিং পর্যায়েও তাদের অংশগ্রহণ থাকতে হবে।
আইএইচআর/জেডএইচ/এএসএম