সেন্টমার্টিন বিক্রি করে ক্ষমতায় আসতে চাই না: প্রধানমন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:০৫ পিএম, ২১ জুন ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কন্যা। কারও কাছে এ দেশের সম্পদ বিক্রি করে ক্ষমতায় আসতে চাই না। গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিলে আমিও ক্ষমতায় থাকতে পারতাম। এখন যদি বলি সেন্টমার্টিন দ্বীপ কারও কাছে লিজ দেবো তাহলে ক্ষমতায় থাকার কোনো অসুবিধা নেই। আমার দ্বারা এটা হবে না। আমার দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে কাউকে খেলতে দেবো না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল। এখন তারা দেশ বিক্রি করবে। তারা নাকি সেন্টমার্টিন দ্বীপ বিক্রির মুচলেকা দিয়ে আসতে চায়।

বুধবার (২১ জুন) দুপুরে গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

আরও পড়ুন: এখন কাঁচামরিচ শুকিয়ে রাখুন, বর্ষায় ভিজিয়ে খাবেন: প্রধানমন্ত্রী

তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় প্রার্থীর জনপ্রিয়তা এবং গ্রহণযোগ্যতা বিবেচনা করি আমরা। আমাদের নারীরা যদি ভালো কাজ করে, আমরা কিন্তু তাদের দিয়ে থাকি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের সংবিধানে বলা আছে যে একজন নির্বাচিত সরকারপ্রধান আরেকজন নির্বাচিত সরকারপ্রধান ধারায় প্রতিস্থাপিত হবে। এটা যেমন উচ্চ আদালতের রায়ে আছে এটা আবার আমাদের সংবিধানেও আছে।

সরকারপ্রধান বলেন, বিরোধীদলগুলো এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি জানাচ্ছে। অথচ একসময় খালেদা জিয়ার উক্তি ছিল, পাগল ও শিশু ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নয়। তারা নিজেরাই এ তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাচ্ছে। এ পদ্ধতি তারাই নষ্ট করেছিল এবং তারা এটা বাদ দিয়েছিল। তারাই রাখেনি, এখন তারাই ফেরত চাচ্ছে।

আরও পড়ুন: যারা বলে ভোটচোর, তারা তো ভোটডাকাত: প্রধানমন্ত্রী

তিনি বলেন, সংবিধান ধারাকে জটিলতা সৃষ্টি কেন করছে? উদ্দেশ্যটা কী? তার মানে গণতন্ত্রের ধারা নষ্ট করা। নির্বাচন বানচাল করার জন্য বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাস করেছে, তিন হাজার ৮০০ গাড়ি পুড়িয়ে, তিন হাজারের ওপর মানুষ পুড়িয়েছে তারা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নন-অ্যালাইন মুভমেন্ট এখনো সচল। ওটা কিন্তু এখনও একেবারে বন্ধ হয়নি, এখনো সম্মেলন অনুষ্ঠান হয়।

এসইউজে/এমআইএইচএস/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।