সংসদে পরিবেশ উপমন্ত্রী
উন্নয়ন কাজের জন্য কোনো না কোনোভাবে গাছ কাটা হচ্ছে
উন্নয়ন কাজের জন্য কোনো না কোনোভাবে বৃক্ষ নিধন বা গাছ কাটা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার।
তিনি বলেন, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সাফল্য অনেক হলেও সে তুলনায় আমার মন্ত্রণালয়ের সাফল্য কম। উন্নয়ন কাজের জন্য কোনো না কোনোভাবে বৃক্ষ নিধন হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২০ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৩–২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
পরিবেশ উপমন্ত্রী বলেন, আমাদের মন্ত্রণালয়ের বন অধিদপ্তর বনায়নের জন্য বেশকিছুটা এগিয়েছে। কিন্তু পিছিয়েও যেতে হয় আমাদের অনেক উন্নয়ন কাজের জন্য। সেটা সরকারি, বেসরকারি বা ব্যক্তিগতভাবে হোক, যেকোনো উন্নয়ন কাজের জন্য বৃক্ষনিধন কোনো না কোনোভাবে হচ্ছে। আমরা যেসব গাছ লাগাচ্ছি সেগুলোর হিসাব রাখছি। সাধারণ মানুষও সামাজিকভাবে বনায়ন করে যাচ্ছে।
হাবিবুন নাহার বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশেই উন্নয়নকাজ করতে হলে গাছ বাঁচিয়ে রেখে করে। কিন্তু আমাদের দেশে সেই চিন্তাধারা নেই।
পরিবেশের কথা বলতে গেলে কষ্ট পেতে হয় উল্লেখ করে পরিবেশ উপমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সরকারকেও স্মার্ট হতে হবে, জনগণকেও স্মার্ট হতে হবে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট। তিনি পরিবেশের সর্বোচ্চ পদ চ্যাম্পিয়ান অব দ্য আর্থ হয়েছেন। আমরা কি তার যোগ্যতা কাজে লাগিয়ে পরিবেশ রক্ষা করতে পেরেছি? কখনো পারি নাই। আমাদের মন্ত্রণালয়ের কাজ আমরা একা শেষ করতে পারবো না। মানুষ একাত্ম হলেই সেটা পারবো।
পরে বাজেট বক্তৃতায় বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদেরের সমালোচনা করে সরকারি দলের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম বলেন, সেদিন অবাক হলাম একজনের কথা শুনে। জাতীয় সংসদের বিরোধীদলের উপনেতা বলেছেন, বাংলাদেশ সবার অজান্তে শ্রীলঙ্কা হয়ে গেছে। বিরোধীদলের উপনেতা কবে, কখন (শ্রীলঙ্কা হলো) আমরাতো টের পেলাম না। তাহলে আপনি কি এখন শ্রীলঙ্কার এমপি নাকি? জি এম কাদের, দয়া করে বলুনতো আপনি আসলে কাদের? এ যে কোকিলের কণ্ঠে সুশীলের ধ্বনি! বিরোধীদলের উপনেতা, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার উদারতা বেমালুম ভুলে গেলেন!
আইএইচআর/কেএসআর