সেন্ট্রাল হাসপাতালের কাণ্ড
আমার সন্তানকে মেরে ফেলা হয়েছে, স্ত্রীও মৃত্যুশয্যায়: ইয়াকুব
‘আমার সন্তানকে মেরে ফেলা হয়েছে, স্ত্রীও মৃত্যুশয্যায়। মাহবুবা জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। আমি কাকে নিয়ে বাঁচবো? আমাকেও মেরে ফেলুন। আমার বেঁচে থাকার আর কোনো অবলম্বন নেই।’
রাজধানীর সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় সন্তান হারানো ইয়াকুব আলী সুমন সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের আয়োজিত মানববন্ধনে এসব কথা বলেন। চিকিৎসকদের অবহেলার কারণে সন্তানকে হারাতে হয়েছে এবং স্ত্রী মৃত্যুশয্যায় রয়েছে বলে অভিযোগ করে তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় নীলক্ষেত মোড়ে এ মানববন্ধন করা হয়। সেন্ট্রাল হাসপাতালে ইডেন কলেজের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী মাহবুবা রহমানের চিকিৎসায় অবহেলার প্রতিবাদ ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা এ মানববন্ধনের আয়োজন করে। এতে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
এ সময় তারা ‘নবজাতক হত্যার বিচার চাই, মাহবুবার সুচিকিৎসা চাই’, ‘সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসার বিচার চাই’, ‘চিকিৎসার নামে অর্থ-বাণিজ্য, অবহেলা বন্ধ হোক’সহ বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করতে দেখা যায়।
মাহবুবা রহমানের সহপাঠী মুনিয়া বলেন, এ মুহূর্তে সন্তান নিয়ে আমাদের সহপাঠীর আনন্দঘন মুহূর্তে থাকার কথা ছিল। সেই জায়গায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও ভুল চিকিৎসায় বড় ধরনের খেসারত দিতে হচ্ছে। আমরা এ ঘটনার বিচার দাবি করছি। মাহবুবার সুচিকিৎসার পূর্ণ দায়িত্ব সেন্ট্রাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে।
শিক্ষার্থীদের ৩ দফা
>> চিকিৎসকের অবহেলা ও ভুল চিকিৎসার কারণে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।
>> মাহবুবা রহমান জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ল্যাব এইড হাসপাতালের সিসিইউতে আছেন। তার চিকিৎসার সব খরচ সেন্ট্রাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষে বহন করতে হবে।
>> ভুল চিকিৎসা ও অবহেলা কারণে নবজাতকের মৃত্যু ও মাহবুবা রহমান মৃত্যুশয্যায়। এর ক্ষতি নিরূপণ করে পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
নাহিদ হাসান/ ঢাকা কলেজ/জেআইএম