ইসি আহসান হাবিব
হাতপাখার প্রার্থীর ওপর হামলাকারীকে গ্রেফতার ও শাস্তির নির্দেশ
বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়রপ্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীমের ওপর হামলা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান বলেছেন, বরিশালের পরিবেশ দেখলাম, খুব ভালো ভোট হচ্ছে। এরমধ্যে এটা আকস্মিক ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। এটি কাঙ্ক্ষিত ছিল না। প্রথমে দায়ী ব্যক্তিদের গ্রেফতার ও পরে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যে অন্যায় করেছে তাকে শাস্তি পেতেই হবে।
আরও পড়ুন: বরিশালে হাতপাখার প্রার্থীর ওপর হামলার অভিযোগ
সোমবার (১২ জুন) সকাল থেকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এ দুই সিটির ভোট সিসি ক্যামেরায় মনিটরিংয়ের এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ থেকে যা পাচ্ছি আমরা, অনেক হ্যাপি। সার্বিকভাবে ভোটের অবস্থা ভালো, একটা ঘটনা ছাড়া। ৩০ শতাংশ ভোট হয়েছে। দিন শেষে ৪০ শতাংশ হবে।
তিনি আরও বলেন, বরিশালে র্যাব-বিজিবিসহ সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে যাতে আর কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে।
এর আগে ২২ নম্বর ওয়ার্ডের ৮৭ নম্বর কেন্দ্রে সাবেরা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনকালে মেয়রপ্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীমের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর তিনি রিটার্নিং অফিসার ও পুলিশ কমিশনার বরাবর অভিযোগ দেন।
আরও পড়ুন: নৌকায় যাচ্ছে হাতপাখার ভোট: আউয়াল
অভিযোগে ফয়জুল করীম বলেন, নগরীর ২২ নম্বর ওয়ার্ডের ৮৭ নম্বর কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে দেখি নৌকার সমর্থকরা ভোটকক্ষে ঢুকে ভোটারদের বলছেন, নৌকায় ভোট দিলে দাও, না হলে চলে যাও। এসময় আমি প্রিসাইডিং অফিসারকে এসব বিষয় বলছিলাম। তখন নৌকার কর্মীরা এসে আমাকে ও আমার সঙ্গে যারা ছিলেন তাদের ওপর হামলা চালিয়ে জখম করে।
নির্বাচনের পর আন্দোলনের কথা বলে তিনি জানান, এই সরকারের পতন না করে আমি ঘরে ফিরবো না। আমি কোনো অন্যায় করিনি। যারা হামলা করেছে তাদের বাবার বয়সী আমি। আমাকে মারধর করার কী কারণ? আমার দাড়িপাকা, একজন আলেম মানুষ। এতবড় পিশাচ হতে পারে মানুষ? এসব কী হচ্ছে? এটা কেমন নির্বাচন?
এমওএস/এমএইচআর/জিকেএস