প্রধানমন্ত্রী
বিএনপি বিচারহীনতার সংস্কৃতি দিয়েছিল, আ’লীগ ন্যায়বিচার দিয়েছে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে জোরপূর্বক গুম, হত্যা ও বিচারহীনতার সংস্কৃতি চালু করেছিল বিএনপি। আজকে আমরা ন্যায়বিচার না পাওয়ার পরিস্থিতি থেকে দেশকে মুক্ত করতে পেরেছি। আওয়ামী লীগ দেশের মানুষকে ন্যায়বিচার পাওয়ার ব্যবস্থা ফিরিয়ে দিয়েছে।
তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে। দেশকে বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বের করে এনেছে। অথচ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ হত্যার ঘটনায় ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেছিল বিএনপি।
সোমবার (৫ জুন) বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত নেতারা গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত নেতাদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার পর তার পিতৃহত্যার বিচার চাওয়ার ও বিচার পাওয়ার কোনো অধিকার আমাদের ছিল না। এটি ছিল মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। আমরা ন্যায়বিচার না পাওয়ার পরিস্থিতি থেকে দেশকে মুক্ত করতে পেরেছি। আওয়ামী লীগ সরকার সবসময় ন্যাবিচারে বিশ্বাস করে। আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের ন্যায়বিচার পাওয়ার ব্যবস্থা করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সরকার বিচারব্যবস্থাকে ডিজিটালাইজড করেছে, যেন মানুষ ভোগান্তির সম্মুখীন না হয়ে স্বল্প সময়ের মধ্যে বিচার পেতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী জানান, তার সরকার কোভিড-১৯ মহামারির সময় এটিকে (বিচার কার্যক্রম) ভার্চুয়াল করেছে, যেন মানুষ ঘরে বসে স্বল্প সময়ের মধ্যে ন্যায়বিচার পেতে পারে।
চলমান তাপপ্রবাহের মধ্যে লোডশেডিংয়ে জনগণের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, আমরা আমাদের সাধ্যমত চেষ্টা করছি ও এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।
শেখ হাসিনা বলেন, গত সাড়ে ১৪ বছর ধরে গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতার কারণে বাংলাদেশে চমকপ্রদ উন্নয়ন হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের নিবেদিতপ্রাণ প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। আমরা দেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছি।
এসময় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সিনিয়র আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এসইউজে/এমকেআর/জেআইএম