বায়ুদূষণের কারণে অ্যাজমা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে: ডা. আয়েশা
‘বায়ুদূষণের কারণে বাতাসের সঙ্গে মিশে থাকা ধূলিকণা শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে শরীরে প্রবেশ করে। ফলে দিন দিন অ্যাজমা রোগীর অনেক বাড়ছে। পরিবেশ নিয়ে সচেতন হলেই অনেক কিছু থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।’
বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে শনিবার (৩ জুন) জাগো নিউজের ‘পরিবেশ সচেতনতা ও করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে শ্যামলী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট টিবি হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আয়েশা আক্তার একথা বলেন।
বৈঠকে আয়েশা আক্তার স্বাস্থ্যের বিষয়টির ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘পরিবেশ দিবসটা আসলে পরিবেশ সচেতনতর জন্য। মানুষ, প্রাণী, গাছপালা সবকিছু মিলেই পরিবেশ। যখন পরিবেশ নির্মল হবে তখন একটা বাসযোগ্য পৃথিবী হবে আগামী প্রজন্মের জন্য। পরিবেশ দূষণের কারণে অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এর মধ্যে বেশি সমস্যা হয় স্বাস্থ্যের।
তিনি বলেন, যখন বায়ুদূষণ হয় তখন বাতাসের সঙ্গে মিশে থাকা ধূলিকণা আমরা শ্বাস নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে নিই। ফলে অ্যাজমা রোগী অনেক বেড়ে যাচ্ছে।
তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, ‘আগে আমরা যেখানে প্রতিদিন ২০০ থেকে ৩০০ রোগী দেখতাম এখন সেটা বেড়ে ৬০০ হচ্ছে। এর মূল কারণ বায়ুদূষণ। যখন আমরা দীর্ঘদিন ধরে দূষিত বায়ু শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে নিচ্ছি তখন আমাদের ফুসফুস আক্রান্ত হয়। অ্যাজমাসহ বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি করে। তারপর ধীরে ধীরে ক্যানসারে রূপ নেয়।’
তিনি আরও বলেন, হৃদপিণ্ডের মাধ্যমে পুরো শরীরে আমাদের ব্লাড সার্কুলেশনটা হয়। যখন আমরা অক্সিজেন কম পাই তখন আমাদের হৃদপিণ্ডের সংকোচন-প্রসারণ বেশি হয়। হার্ট ফেইল করে, কিডনিও বিকল হয়ে যেতে পারে। একটা পর্যায়ে মানুষ মৃত্যুর দিকে ধাবিত হতে থাকে। এসব সমস্যা বেড়ে যাচ্ছে।
আয়েশা আক্তার আরও বলেন, অসংক্রামক ব্যাধি হিসেবে এসব রোগ দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। পরিবেশ দূষণের ফলে আমাদের যে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস রয়েছে সেগুলো কিন্তু রূপ পরিবর্তন করে। করোনা মহামারির সময় যেই রূপ পরিবর্তন দেখেছি সেটা কিন্তু আসলে পরিবেশের এক ধরনের বিপর্যয়ের কারণে ঘটেছে।
এমএমএ/এসএনআর/এএসএম