ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু
৭ বছর আগে বিয়ে, পারিবারিক কলহে ‘আত্মহত্যা’
রাজধানীর সরকারি কবি নজরুল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ওয়াসিম রানার মরদেহ উদ্ধার হয় শুক্রবার (২ জুন) রাত সাড়ে ১২টার দিকে। চানখাঁরপুল এলাকায় নিজ বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার হয়। ওয়াসিম রানার মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া জানান, সরকারি কবি নজরুল কলেজের ছাত্রলীগের সভাপতি ওয়াসিম রানাকে ঢাকা মেডিকেলে আনা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আমরা জানতে পেরেছি তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবে কী কারণে আত্মহত্যা করেছেন প্রাথমিকভাবে সেটি জানা যায়নি। মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি বংশাল থানাকে জানানো হয়েছে।
শুক্রবার রাতে জাগো নিউজকে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমান। তিনি জানান, নাজিমুদ্দিন রোডে শেখ বোরহান উদ্দিন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কলেজের পেছনে একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন রানা। সেখানে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। কী কারণে আত্মহত্যা করেছেন সে বিষয়ে নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি।
এদিকে, রাত দেড়টার দিকে হাসপাতালের সামনে সানজিদা আক্তার (জান্নাতি) নামে এক নারীকে আহাজারি করতে দেখা যায়। তিনি জানান, ‘ওয়াসিম রানার সঙ্গে তার বিয়ে হয় ৭ বছর আগে। এতোদিন বিষয়টি কাউকে জানানো হয়নি। এক সপ্তাহ আগে ছোট একটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে রানা তার গায়ে হাত তোলেন। এ ঘটনার পর তার বাবা-মা রানার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করতে বলেন। ঘটনার দিন রাতেও রানা তাকে বাসায় ফিরতে বলেন। না গেলে আত্মহত্যা করার হুমকি দেন।’ সানজিদা আরও বলেন, ‘ও এমনটা করবে আমি ভাবতেই পারিনি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক এক সহ-সভাপতি জানান, ‘আমরা জানতাম সানজিদার সঙ্গে প্রেম ছিল। বিয়ে হয়েছিল কি না তা সঠিক জানি না। তবে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তার মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের দাবি জানান তিনি।
শান্ত রায়হান/এসএনআর/এমএস