রোহিঙ্গা গণহত্যার মামলার অর্থায়নে সব দেশকে চিঠি দেওয়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৩২ পিএম, ২৮ মে ২০২৩

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা গণহত্যা বিষয়ক মামলা পরিচালনার জন্য অরগানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশনের (ওআইসি) সদস্যদের অর্থ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, গাম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট এবং ওআইসি মহাসচিব যৌথ এক চিঠিতে এ আহ্বান জানান।

রোববার (২৮ মে) ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ওআইসি মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকের পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এ কথা বলেন।

এসময় আব্দুল মোমেন বলেন, রোহিঙ্গা গণহত্যার দায়ে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) চলমান মামলা পরিচালনায় ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ওআইসির মহাসচিব হুসেইন ইব্রাহীম ত্বহা ও গাম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট অ্যাডামা বারো।

হুসেইন ইব্রাহীম বলেন, ওআইসির সদস্য দেশগুলোর জন্য বাংলাদেশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দেশ। রোহিঙ্গা সংকটসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। ওআইসি সদস্য দেশগুলোতে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন বজায় রাখার ব্যাপারে আমরা আলোচনা করেছি।

রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশ যে ভূমিকা রাখছে, সে জন্য ওআইসির পক্ষ থেকে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে এসেছি। রোহিঙ্গারা মজলুম, তারা ভয়াবহ ভোগান্তির মধ্যে আছেন। তাদেরও নিরাপত্তা, শান্তি ও উন্নত জীবন যাপনের অধিকার আছে। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য ওআইসির সদস্য দেশগুলোর পক্ষ থেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

jagonews24

তিনি বলেন, এখানে ইসলামি প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (আইইউটি) আছে। সে কারণেই আমি বাংলাদেশ সফরে এসেছি। ওআইসি সদস্য দেশগুলো থেকে আসা বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী এখানে লেখাপড়া করছেন।

রোহিঙ্গাদের তহবিল আস্তে আস্তে কমে যাচ্ছে, এ নিয়ে ওআইসি কিছু ভাবছে কি না-জানতে চাইলে তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য তহবিল সংগ্রহে প্রধান ভূমিকা রাখে জাতিসংঘ। ওআইসিও সমানভাবে উদ্বিগ্ন। যে কারণে ওআইসির মহাসচিব হিসেবে সব সদস্য দেশগুলোর কাছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপ্রধানদের কাছে চিঠি লিখেছি। তাদের উৎসাহিত করছি রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়াতে।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বিচার আদালতেও রোহিঙ্গাদের নিয়ে একটি মামলা চলছে। আফ্রিকান দেশ গাম্বিয়া এ মামলা করেছে। গাম্বিয়া কোনো বড় দেশ না, কিন্তু অনেক কিছু করার চেষ্টা করেছে। কারণ আমরা সব সদস্য দেশকে বলেছি যাতে তারা গাম্বিয়াকে সমর্থন করে। আর রোহিঙ্গা নিপীড়নের ঘটনায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে চলা মামলা পরিচালনায়ও ওআইসির তহবিলেও তারা যাতে সহায়তা করে, সেই অনুরোধ করা হয়েছে। রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাসহ অনেকগুলো বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। বিশেষ করে মুসলমানদের আরও সংহত হতে হবে, শক্তিশালী অবস্থান নিতে হবে। বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন নামে মুসলমানদের ধর্মগ্রন্থ পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে। খামোখা অভিযুক্ত করা হচ্ছে। কিন্তু এসবের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এ ডাবল স্ট্যান্ডার্ড নিয়ে আলোচনা করেছি।

তিনি আরও বলেন, মুসলিম দেশগুলোতে যথেষ্ট সম্পদ আছে। এ ক্ষেত্রে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব নিরসন করতে পারলে আমাদের আরও বেশি উন্নতি হবে।

আইএইচআর/এমআইএইচএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।