ইসি আলমগীর

গাজীপুরে নির্বাচনী পরিবেশ উপমহাদেশের মধ্যে অত্যন্ত ভালো

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:১১ পিএম, ২২ মে ২০২৩

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পরিবেশ শুধু বাংলাদেশে নয়, উপমহাদেশের মধ্যে অত্যন্ত ভালো। অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে প্রার্থীরা প্রচার চালাচ্ছেন। ভোটের দিন এবং ফলাফল ঘোষণার সময় পর্যন্ত এ পরিবেশ বজায় থাকবে।

সোমবার (২২ মে) রাজধানীর নির্বাচন কমিশন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

নির্বাচনী প্রচারণায় গাড়ি ভাঙচুরের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ও সুষ্ঠু পরিবেশে সবাই প্রচার চালাচ্ছে। মূলধারার গণমাধ্যমে গাড়ি ভাঙচুরের কোনো ভিডিও আসেনি। কোনো পত্রিকাতেও লেখা হয়নি। গতকাল (রোববার) আমি নিজে গিয়েছি গাজীপুর। এর আগেও গিয়েছি। সবাই মাইক দিয়ে ভোটের প্রচার করছে দেখেছি।

আরও পড়ুন: বিভিন্ন দেশের মানুষ গাজীপুরের নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে

এ প্রসঙ্গে ইসি আলমগীর আরও বলেন, আমি তো আর সেখানে যাওয়ার সময় বলে যাইনি যে, আমার সামনে দেখানোর জন্য একটু আসেন। গাজীপুর শহরের এক জায়গা দিয়ে ঢুকে অন্য জায়গা দিয়ে বের হই। আমার তো পরিচিত লোকজনও আছে। তাদের কাছ থেকেও খোঁজ নিই। অত্যন্ত সুন্দরভাবে প্রচার হচ্ছে। তারপরও আমাদের দেশের সংস্কৃতি যেটা, দ্বিতীয় পক্ষ মুখোমুখি হয়ে যায়। উভয়পক্ষ যখন স্লোগান দেয়, তখন পুলিশ থাকে মাঝে। পুলিশ সুন্দরভাবে ভূমিকা পালন করছে।

গাজীপুর সিটি নির্বাচন পরিস্থিতি কী কমিশনের নিয়ন্ত্রণে আছে- এ প্রশ্নের জবাবে সাবেক এ ইসি সচিব বলেন, আপনাদের মনে হয় কি নাই? না থাকার প্রমাণ দেন।

আরও পড়ুন: ২৮ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা আজমত উল্লার

তিনি বলেন, নির্বাচনে ৫৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে। প্রত্যেক ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে বিজিবির টিম থাকবে, র্যাব থাকবে, বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে। এরপরও নির্বাচন সুষ্ঠু না হওয়ার তো কোনো কারণ নেই। ভোটাররা যদি বলেন যে ভয় পাচ্ছি, তো আন্দাজে ভয় পাইয়ে তো লাভ নেই। উনি (ভোটার) ঘর থেকে বের হোক। ভোট দিতে যাক। তারপর যদি কেউ বাধা দেয় তখন বলুক। আমাদের কাছে পাঠাক যে উমুকে বাধা দিচ্ছে। দেখেন তখন কী হয়। কঠিন অ্যাকশন হবে।

মো. আলমগীর বলেন, গতকাল (রোববারের) মিটিংয়ে স্টেট বলা হইছে, কোনো ভোটারকে কোনো এজেন্টকে কোনো রকম বাধা দিলে খবর আছে। যে বাধা দেবে তার বিরুদ্ধে অ্যাকশন হবে, সে যেই হোক।

তিনি বলেন, এজেন্টের সই ছাড়া আমরা কোনো ফলাফল শিট নেবো না। অন্যথায় সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাকে এজেন্ট না থাকার বিষয়টি সার্টিফাই করতে হবে। এর আগে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানাতে হবে। তখন প্রার্থীর কাছে এজেন্ট না থাকার কারণ জানতে চাওয়া হবে। তার কাছে এজেন্ট চাওয়া হবে।

আরও পড়ুন: ১৮ মাস চোখের পানি ফেলেছি, সব নেতার দরজায় গিয়েছি

সিসি ক্যামেরার প্রসঙ্গে এ নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, সব বুথে সিসি ক্যামেরা থাকবে। ঢাকায় বসে সিইসিসহ অন্য কমিশনার, কর্মকর্তা এবং সাংবাদিকরা তা পর্যবেক্ষণ করবেন। আমরা কোনো অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী অ্যাকশনে যাবো। গাইবান্ধায় তো কেবল নির্বাচন বন্ধ করা হয়েছে। এখানে তার চাইতেও কঠিন অ্যাকশন হবে। আপনারা দেখেন।

আগামী ২৫ মে গাজীপুর সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে মেয়র পদে ৮ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৩৯ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৭৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এইচএস/এমকেআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।