বিজিএমইএ’র সপ্তাহব্যাপী পরিচ্ছন্নতা-অগ্নিনিরাপত্তা কর্মসূচি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:১০ পিএম, ২১ মে ২০২৩

সপ্তাহব্যাপী ‘পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং বৈদ্যুতিক ও অগ্নিনিরাপত্তা মেইনটেন্যান্স’ কর্মসূচি পালন করছে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।

রোববার (২১ মে) রাজধানীর উত্তরাস্থ বিজিএমইএ কমপ্লেক্স থেকে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।

বিজিএমইএ বলছে, পরিবেশগত ও সামাজিকভাবে শিল্পকে টেকসই করতে একের পর এক উদ্যোগ নিচ্ছে তারা। তারা সামাজিক দায়বদ্ধতায় উদ্বুদ্ধ হয়ে শিল্পের পক্ষ থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় সপ্তাহব্যাপী এ কর্মসূচি পালনের উদ্যোগ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, বিজিএমইএ কার্যালয় থেকে এ কর্মসূচি শুরু হলো। সদস্যভুক্ত করখানাগুলোতে একই সঙ্গে কর্মসূচি পালনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সপ্তাহব্যাপী এ কর্মসূচির আওতায় বিজিএমইএ’র ঢাকা ও চট্টগ্রাম কার্যালয়সহ সদস্যভুক্ত সব পোশাক কারখানা প্রাঙ্গণ এবং আশপাশের এলাকায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন কর্মসূচি পরিচালনা করা হবে। পাশাপাশি শ্রমিক-কর্মচারীদের কর্মস্থল এবং বাসাবাড়ি ঝুঁকিমূক্ত রাখার জন্য অগ্নি ও বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা বিষয়ক সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

বিজিএমইএ’র পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- ভবনের সম্মুখভাগ এবং আশপাশের রাস্তাঘাটের সব ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করা। ভবন প্রাঙ্গণে কোনো লেক থাকলে তার পানি এবং জলজ ময়লা (কচুরিপানা ইত্যাদি) পরিষ্কার করা। বাগান থাকলে আগাছা ও জঙ্গল পরিষ্কার করা এবং মশা-মাছির বিস্তার রোধে ফুলের টব বা অন্য কোনো পাত্রে পানি জমে থাকলে তা পরিষ্কার করা। বিশেষ করে কারখানা ভবনের সব ঝুল ময়লা, বৈদ্যুতিক চ্যানেল, ইলেকট্রিক্যাল স্থাপনা এবং অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রপাতিসমূহ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা।

অগ্নিনিরাপত্তা মেইনটেন্যান্স কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- কারখানার সব অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা কার্যকর আছে কি না তা চেক করা (অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র, হাইড্রেন্ট সিস্টেম, ফায়ার অ্যালার্ম ইত্যাদি)। কারখানার সিঁড়িসহ চলাচলের সব পথ বাঁধামুক্ত আছে কি না তা নিশ্চিত করা। কারখানার সব বৈদ্যুতিক স্থাপনা ও বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম নিরাপদ আছে কি না তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা। কারখানার গ্যাসের লাইন, বয়লার, কম্প্রেসার মেশিন ইত্যাদি চেক করা। কারখানার সব শ্রমিক-কর্মচারীর মধ্যে অগ্নিনিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা। তাদের অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র ব্যবহার, আগুন লাগলে করণীয় এবং প্রাথমিক চিকিৎসা বিষয়ের ওপর হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া ইত্যাদি।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৫২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরিদ আহমেদ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী, বিজিএমইএ বোর্ডের সদস্যসহ বিভিন্ন স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান ও কো-চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন।

ইএআর/ইএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।