ঘূর্ণিঝড় মোখা
‘সেন্টমার্টিনে ১০০ কিমি বেগে বাতাস বইছে, তিনতলা ভবন কাঁপছে’
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:৪২ পিএম, ১৪ মে ২০২৩
ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে সেন্টমার্টিনে ১০০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান। তিনি বলেন, ‘সেন্টমার্টিনে আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ আমিরুল হোসেন আমাদের জানিয়েছেন, সেখানে বৃষ্টি নেই। প্রচণ্ড গতিতে বাতাস বইছে। তবে তিনতলা ভবন কাঁপছে। বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে সেখানে বাতাসের গতিবেগ ছিল ৮০ কিলোমিটার, এখন সর্বোচ্চ গতিবেগ ১০০ কিলোমিটার।
রোববার (১৪ মে) দুপুরে আবহাওয়া অধিদপ্তরে ঘূর্ণিঝড় মোখা নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
মো. আজিজুর রহমান বলেন, অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ২৮৫ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ২০০ কিমি দক্ষিণে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৪৫ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৪৫ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল।
আরও পড়ুন> ৮ বিভাগেই মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে
তিনি আরও বলেন, কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রমরত ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র বিকেল ৩টা নাগাদ উপকূল এবং সম্পূর্ণ ঘূর্ণিঝড়টি সন্ধ্যা নাগাদ সিটুয়ের (মিয়ানমার) নিকট দিয়ে কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন> ঘূর্ণিঝড় মোখা/বাংলাদেশের উপকূলে ঝুঁকি কমেছে, মূল আঘাত মিয়ানমারে
এদিকে, আগামীকাল ঢাকাসহ বিভিন্ন বিভাগে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা কক্সবাজার ও উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করছে। বিকেল ৩টা নাগাদ বাংলাদেশে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় মোখা, মূল আঘাত হানবে মিয়ানমারে।
এর আগে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, বঙ্গোসাগরে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার অগ্রভাগ বাংলাদেশের কক্সবাজার ও উত্তর-মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছে। রোববার সকালের দিকে উপকূল অতিক্রম শুরু করে এ ঘূর্ণিঝড়। সবশেষ তথ্যে বাংলাদেশের উপকূলে ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি কমে এসেছে। মূলত অতি প্রবল এ ঘূর্ণিঝড় মূল আঘাত হানবে মিয়ানমারের সিটওয়ে অঞ্চলে।
এসএম/এসএনআর/জেএমআই