মোখা মোকাবিলায় প্রস্তুতি রাখতে ডিসি-ইউএনওদের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:১৯ পিএম, ১২ মে ২০২৩

ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি রাখতে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। ঝড়ের কারণে যদি কোথাও বিদ্যুৎ চলে যায় এবং মোবাইল ফোনের সংযোগ যদি না থাকে, তবে তারা যেন স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিজেদের কাজগুলো করে যান, সেভাবেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (১২ মে) দুপুরে এক ভার্চুয়াল বৈঠকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। বৈঠকে ২২ জেলার ডিসি ও ইউএনওরা অংশ নেন। এতে সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মাহমুদুল হোসাইন খান।

আরও পড়ুন: মোখার সেন্টার পয়েন্ট হতে পারে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন

তিনি জানান, বেশকিছু বিষয়ে আমরা নির্দেশনা দিয়েছি। যার মধ্যে রয়েছে- ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় তারা যেন তাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেন। এনজিওসহ সবাইকে সম্পৃক্ত করে প্রস্তুতি নিতে হবে। শুকনো খাবার, দিয়াশলাই ও মোমবাতি প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি উদ্ধারকারী বোট, ট্রলার ও গাড়িগুলো এমনভাবে প্রস্তুত রাখতে হবে, যাতে তা যেকোনো সময় কাজে লাগানো যায়। চালকদের মোবাইল ফোন নম্বরসহ সবকিছু হাতের কাছে রাখতে বলা হয়েছে।

মাহমুদুল হোসাইন বলেন, বিদ্যুৎ যদি চলেও যায়, কোনো কারণে যদি মোবাইল ফোনের সংযোগ না-ও থাকে, তারা যেন স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিজেদের কাজগুলো করে যান, সেভাবেই তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। হতেই পারে যে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার কারণে সবকিছু বন্ধ হয়ে গেলো, সেক্ষেত্রে যেন হেডকোয়ার্টার্সের নির্দেশেনার অপেক্ষায় না থাকতে হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা তাদের টিম সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখবেন এবং যোগাযোগ রক্ষা করে চলবেন।

আরও পড়ুন: রোববার দুপুরে আঘাত হানবে ‘মোখা’, ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত

যেসব মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে চাইবে না, তাদের বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এই সচিব বলেন, প্রথমে তাদের নিয়ে আসার জন্য মোটিভেশন (উৎসাহিত) করতে বলা হয়েছে। তাতে যদি সফল না হয়, তাহলে জোর করে হলেও তাদের নিয়ে আসতে হবে। কারণ মানুষের ক্ষতি হোক- তা আমরা কখনোই চাইবো না। জোর করে হলেও তাদের কাছাকাছি আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে নিয়ে যেতে হবে। বিশেষ করে আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে বয়স্ক, শিশু ও নারীদের অবশ্যই অগ্রাধিকার দিতে হবে। তাদের অবশ্যই সম্মানজনকভাবে রাখতে বলে দিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, খাবার পানি বিশুদ্ধ করার ট্যাবলেট পর্যাপ্ত পরিমাণে দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে সব জায়গায় চলে গেছে। প্রয়োজনীয় ওষুধ সামগ্রীসহ মেডিকেল টিমও প্রস্তুত আছে। ঝড় মোকাবিলায় ডিসি ও ইউএনওদের প্রস্তুতির কথাও আমরা শুনেছি। সেই মোতাবেক তাদের সতর্ক থাকতে বলেছি। কেবল প্রস্তুতি নিলেই হবে না, তা বাস্তবায়ন করতে হবে। এ বিষয়ে মন্ত্রী, স্থানীয় এমপি ও জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করতে বলা হয়েছে।

আইএইচআর/কেএসআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।