শুক্রবার রোগীর চাপ কম মিটফোর্ডে

পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালে সাধারণত রোগীর চাপ থাকে অনেক বেশি। ঢাকার অন্যান্য সরকারি হাসপাতালের মতোই এই হাসপাতালে রোগীদের বেডের অতিরিক্ত তিনগুণ বেশি রোগী ভর্তি থাক। তবে শুক্রবার (১২ মে) বন্ধের দিনে রোগীর চাপ কিছুটা কম।
শুক্রবার হাসপাতালটি ঘুরে দেখা যায়, জরুরি বিভাগের টিকিট কাউন্টারে ভিড় অনেকটা কম। এছাড়া সার্জারি ইউনিট, বার্ন ইউনিটসহ বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে দেখা যায়, সাধারণ বেডের বাইরে রোগী তেমন নেই।
কর্তব্যরত এক নার্স জানান, হাসপাতালের চতুর্থতলায় পুরুষ সার্জারি বিভাগে ইউনিট আছে ৬টি। ৬টি ইউনিটে রোগী ভর্তি হয় দুই ভাগে। এখানে ৩, ৪, ৫ এই তিন ইউনিটের রোগী ভর্তি নেওয়া হয় সোমবার, মঙ্গলবার ও বুধবার। আর ১, ২ ও ৬ নাম্বার ইউনিটে রোগী ভর্তি নেওয়া হয় শনিবার, রোববার ও বৃহস্পতিবার। এছাডা শুক্রবারের রোগীদের সপ্তাহভাগে রোগী ভর্তি করানো হয়।
একটি ভাগ ৩, ৪ ও ৫ নাম্বার ইউনিটের ৩টি ইউনিটে বেড আছে ২৪টি। তবে এই ২৪ বেডের বিপরীতে ভর্তি হয় ৭৮ জন। নার্স কাজ করেন ১৩ জন করে। এছাড়া ১,২ ও ৬ নম্বর ইউনিটে বেড আছে ৩৩টি। তবে এতে প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০ জন রোগী ভর্তি হয়ে থাকে।
এছাড়া তৃতীয় তলায় মহিলা ও শিশু সার্জারি বিভাগের ৮টা ইউনিট আছে বলে জানান স্টাফ নার্স তানিয়া আক্তার। তিনি জানান, ৮টি ইউনিটের মাঝে ফিমেল ইউনিট ৬টি ও শিশু ইউনিট ২টি। এর মাঝে মহিলা ইউনিটের ৬টিতে বেড আছে ৩৪টি। তার বিপরীতে আজ ভর্তি আছে ৬৮জন। অন্যদিকে শিশুদের দুই ইউনিটে ভর্তি আছে ১২ জন। তবে খোলার দিনে রোগী থাকে শতাধিক। জেনারেল সার্জারির রোগীদের এখানে রাখা হয়। এই বিভাগে কাজ করেন ১৫ জন নার্স। আজ সবাই এলেও নার্স দিবসের আলোচনায় অংশ নিয়েছেন অনেকে।
এছাড়া জরুরি বিভাগে প্রতিদিন গড়ে ৬৫০ থেকে ৭৫০ রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন বলে জানান ইমার্জেন্সি টিকিট কাউন্টারে কর্মরত মাসুদ রানা। তিনি জানান, এদের মাঝে গড়ে ২০০ থেকে ২৫০ জন প্রতিদিন ভর্তি হন। বাকিরা চিকিৎসার জন্য পরামর্শ নেয়।
তবে শুক্রবার রোগী তুলনামূলক কম থাকে বলে জানান তিনি। দুপুর ১২টা পর্যন্ত রোগী এসেছে ১৫০ জন। তবে একটু রোগী কম থাকলেও গড়ে ৫০০ রোগী ইমার্জেন্সিতে আসে বলে জানা যায়।
তবে হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, সকাল ১১টা ২০ মিনিট থেকে ঘণ্টাখনেকের বেশি বিদ্যুৎবিভ্রাট। অন্ধকারে থাকে হাসপাতাল। চলে না পাখা। এই গরমে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা পড়েছেন অস্বস্তিতে।
এএএম/এসএনআর/এমএস