মেট্রোরেলে ঢিল

২০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ, নজরদারিতে চার ভবন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৪৩ পিএম, ১০ মে ২০২৩
ফাইল ছবি

মেট্রোরেলে ঢিল ছোড়ার ঘটনায় করা মামলার তদন্তে অগ্রগতি হয়েছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে চারটি বাণিজ্যিক ভবনকে সন্দেহের তালিকায় রাখা হয়েছে। ওই চার ভবনের ওপর নজর রাখছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এরইমধ্যে চার ভবনের ২০ জনকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে।

পুলিশ বলছে, জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হওয়া ২০ জনের মধ্যে যেকোনো একজন ঢিল ছুড়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত কেউ স্বীকার করেননি। তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, গত ৩০ এপ্রিল বেলা ১১টা ৫ মিনিট ৩৩ সেকেন্ডে শেওড়াপাড়া এলাকায় মেট্রোরেল লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়া হয়। মেট্রোরেলের ভেতরে থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ঢিল ছোড়ার সময় ও অবস্থান শনাক্ত করা হয়েছে। ফুটেজ দেখে চারটি বাণিজ্যিক ভবন সন্দেহের তালিকায় রাখা হয়। পরে ওইসময় কারা ভবনে ওঠা-নামা করেছেন, সেই তালিকাও করে পুলিশ।

আরও পড়ুন>> চলন্ত মেট্রোরেলে ঢিল, দুষ্কৃতকারীরা বাড়িছাড়া

তাদের মধ্যে ২০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ভবনের নিরাপত্তারক্ষীদের জেরা করা হয়। যে ঢিল ছোড়া হয়েছে, সেই আলামতও ঘটনাস্থল থেকে সংগ্রহ করেছেন তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। বুধবার (১০ মে) বিকেলে কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান জাগো নিউজকে এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, মেট্রোরেলে ঢিল ছোড়ার ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারটি ভবন সন্দেহের তালিকায় রাখা হয়েছে। ওই চার ভবনের অন্তত ২০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ২০ জনের মধ্যে যে কোনো একজনই মেট্রোরেলে ঢিল ছুড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের গতিবিধি নজরদারিতে রাখা হয়েছে। শিগগির এ ঘটনায় জড়িতকে শনাক্ত করা হবে।

অপরাধ প্রমাণ হলে ৫ বছরের জেল, ৫০ লাখ টাকা জরিমানা
ঢিল ছুড়ে মেট্রোরেলের জানালার কাচ ক্ষতিগ্রস্ত করার ঘটনায় মেট্রোরেল আইনে প্রথমবারের মতো মামলা হয়েছে। ‘মেট্রোরেল আইন ২০১৫’-এর ৩৫ ও ৪৩ ধারাসহ দণ্ডবিধির ৪২৭ ধারায় কাফরুল থানায় এ মামলা করে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। মামলায় একাধিক অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়। ঢিল ছোড়ায় মেট্রোরেলের প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন>> চলন্ত মেট্রোরেলে ঢিল, দুষ্কৃতকারীরা বাড়িছাড়া

মেট্রোরেল আইনের যেসব ধারায় মামলা হয়েছে, এর মধ্যে সর্বোচ্চ শাস্তি হচ্ছে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা ৫০ লাখ টাকা জরিমানা। সর্বনিম্ন শাস্তি হচ্ছে দুই বছরের কারাদণ্ড। মেট্রোরেলে ঢিল নিক্ষেপকারীদের যেন সর্বোচ্চ শাস্তি হয়, সেদিকে নজর রাখছে রাষ্ট্রপক্ষ। তারা চান, অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক। যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের গর্হিত অপরাধে না জড়ান।

টিটি/এএএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।