অবৈধ সম্পদ অর্জন
চট্টগ্রামে সাবেক টিআই কাশেম ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) অবসরপ্রাপ্ত টিআই আবুল কাশেম চৌধুরী ও তার স্ত্রী ফাতেমা বেগমের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (৯ মে) সকালে দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি দায়ের করেন একই কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক এনামুল হক। দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর উপ-পরিচালক মো. নাজমুচ্ছায়াদাৎ বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
দুদকে দায়ের হওয়ার মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর দুদকে জমা দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে ৫০ লাখ ৮০ হাজার ২২১ টাকার সম্পর্দের তথ্য গোপন করেছেন এবং অনুসন্ধানে দুদক তার ৬০ লাখ ৬৯ হাজার ৯৫৯ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের তথ্য পায়।মূলত কর্মকালীন সময়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি এসব সম্পদের মালিক হয়েছেন।
অন্যদিকে, তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম দুদকে দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে ৪৮ লাখ ১১ হাজার ৯৭৪ টাকার অর্জিত সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন এবং এক কোটি ৪০ লাখ ২৬ হাজার ৫৪০ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন বলে দুদক অনুসন্ধানে জানতে পারে।
দুদকে জমা দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে সম্পদের তথ্য গোপন এবং জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে টিআই কাশেম ও তার স্ত্রী ফাতেমা বেগমের বিরুদ্ধে দুদক কমিশনের অনুমোদন পেয়ে মামলাটি করে সহকারী পরিচালক এনামুল হক। তাদের বিরুদ্ধেও করা মামলায় দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন-২০০৪ এর ২৬(২), ২৭(১) ধারা এবংন দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ করা হয়।
আবুল কাশেম চৌধুরী ফেনীর পরশুরাম উপজেলার বাঘমারা গ্রামের মৃত মোশারফ হোসেন মজুমদারের ছেলে। তিনি পরিবার নিয়ে বর্তমানে নগরীর পাহাড়তলী থানার দক্ষিণ কাট্টলী চুনা ফ্যাক্টরি মোড়ের নিজের বহুতল ভবনে বসবাস করেন। অবসর নেওয়ার আগে সিএমপির ট্রাফিক বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক হিসেবে অলংকার পুলিশ বক্সে কর্মরত ছিলেন। এর আগে তিনি ট্রাফিক বন্দর জোনের টিআই অ্যাডমিন হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ‘টিআই কাশেম’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
এমডিআইএইচ/এমএএইচ/জিকেএস