দেশে ১০০ নারীর বিপরীতে পুরুষ ৯৮.১৩ জন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৩৩ পিএম, ২৩ এপ্রিল ২০২৩
ফাইল ছবি

দেশে সামগ্রিকভাবে নারীদের চেয়ে পুরুষ কম। নারীর চেয়ে পুরুষ কমার এ হার দিন দিন আরও বাড়ছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী- দেশে প্রতি ১০০ জন নারীর বিপরীতে পুরুষের সংখ্যা ৯৮ দশমিক ১৩ জন। দেশের পল্লি অঞ্চলে ১০০ নারীর বিপরীতে পুরুষ ৯৮ দশমিক ২৪ জন এবং সিটি করপোরেশন এলাকায় ৯৮ দশমিক ৪৯ জন।

‘মনিটরিং দ্য সিচুয়েশন অব ভাইটাল স্ট্যাটিস্টিকস অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক জরিপের ফলাফল থেকে এ তথ্য জানা গেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ২০২১ সালে এ জরিপ করেছে।

জরিপের তথ্যানুযায়ী- দেশে সামগ্রিকভাবে পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা ১ দশমিক ৮৭ শতাংশ বেশি। জরিপ এলাকায় প্রতি ৪৯ দশমিক ৫৩ জন পুরুষের বিপরীতে নারী ৫০ দশমিক ৪৭ জন। বসবাসের অঞ্চল ও প্রশাসনিক বিভাগসহ সারাদেশের সব জরিপ এলাকায় এ বৈশিষ্ট্য একই রকমভাবে উঠে এসেছে।

আরও পড়ুন>> কম বয়সে বিয়ের প্রবণতা বাড়ছে পুরুষের, কমছে নারীর

জরিপে উঠে এসেছে, নারীর হার পুরুষের বিপরীতে দিন দিন আরও বাড়ছে। নারী-পুরুষের এ ব্যবধান ২০২০ সালের জরিপ ফলাফলের তুলনায় বেশ পরিবর্তিতও হয়েছে। যদিও ২০১৭ সাল ২০২০ সাল পর্যন্ত এ অনুপাত স্থির ছিল।

জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়, জনসংখ্যার লিঙ্গ অনুপাত যে কেবল দুটি ভিন্ন দেশের জনসংখ্যার মধ্যেই ভিন্ন হয়, তা নয়। বরং একই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের জনসংখ্যার উপগোষ্ঠীগুলোর মধ্যেও ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়। জনসংখ্যার লিঙ্গ অনুপাতে ভিন্নতা সৃষ্টির পেছনে যেসব বৈশিষ্ট্য ভূমিকা রাখে, তার মধ্যে রয়েছে ধর্ম, বসবাসের অঞ্চলগত পার্থক্য, বয়স, জাতিগত বৈশিষ্ট্য, বৈবাহিক অবস্থা, নৃতাত্ত্বিক পরিচয়, জন্মগতভাবে প্রাপ্ত বৈশিষ্ট্যা প্রভৃতি।

আরও পড়ুন>> বিয়ে বিচ্ছেদে এগিয়ে রাজশাহী, পিছিয়ে সিলেট

তবে বেশিরভাগ সংস্কৃতিতে লিঙ্গ অনুপাতের ক্ষেত্রে ধর্মীয় ভিন্নতা তেমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে না। বরং শহুরে ও পল্লির ভিন্নতা এক্ষেত্রে কখনো কখনো উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।

এমওএস/এএএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।