রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে চিড়িয়াখানায় মানুষের ভিড়

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:০৮ পিএম, ২২ এপ্রিল ২০২৩

রাজধানীবাসীর বিনোদনের প্রধান কেন্দ্রস্থল মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানা। ঈদকে ঘিরে তা পরিণত হয় অন্যতম আকর্ষণে। এবারের ঈদুল ফিতরেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ঈদের দিনের দুপুর পর্যন্ত তীব্র দাবদাহ ও শেষ বিকেলের বৃষ্টিও বাধা হতে পারেনি বিনোদনপ্রেমী মানুষের ঈদআনন্দে। এদিন চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে।

চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এদিন প্রায় এক লাখ মানুষের আগমন ঘটেছে।

শনিবার (২২ এপ্রিল) বিকেল ৫টার পর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয় চিড়িয়াখানা এলাকায়। সারাদিনই ছিল রোদের উত্তাপ। সকালে ভিড় কিছুটা কম থাকলেও দুপুরের পর দর্শনার্থীর চাপ বাড়তে থাকে। দর্শনার্থী টানতে সনি সিনেমা হলের সামনে অন্য রুটের বাসগুলোকেও চিড়িয়াখানার যাত্রী নিতে দেখা যায়। খেলনা, ময়ূরের পেখম, মুখোশ, খাবার নিয়ে চিড়িয়াখানা সংলগ্ন ফুটপাতে হকারদের ভিড়ও ছিল চোখে পড়ার মতো।

আরও পড়ুন>> ঈদের দিনে হাতিরঝিলে দর্শনার্থীদের ভিড়

ঈদের দিন পরিবার, বান্ধু-বান্ধব নিয়ে অনেকে বেড়াতে এসেছেন চিড়িয়াখানায়। চিড়িয়াখানায় বাড়তি বিনোদন উপভোগ করে তৃপ্তি নিয়ে বাড়ি ফিরে যেতে দেখা গেছে দর্শনার্থীদের। তীব্র দাবদাহ মানুষের পাশাপাশি চিড়িয়াখানার প্রাণীদেরও হাঁসফাঁস অবস্থা। প্রচণ্ড গরমে বাঘ ও সিংহকে খাঁচায় শুয়ে-বসে থাকতে দেখা গেছে। তবে বানর, জিরাফ ও চিড়িয়াখানার অভ্যন্তরে শিশুপার্কে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। ট্রেন ও ম্যারিগো রাইডে ভ্রমণ করতে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়েছে দর্শনার্থীদের।

রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে চিড়িয়াখানায় মানুষের ভিড়

নারায়ণগঞ্জ থেকে স্ত্রী, মেয়েকে নিয়ে চিড়িয়াখানায় ঘুরতে এসেছেন শিক্ষক মনিরুল ইসলাম। ছুটি কম থাকায় গ্রামের বাড়িতে যাওয়া হয়নি তাদের। দুপুর ১২টার দিকে আসেন চিড়িয়াখানায়। বিকেল ৫টা পর্যন্ত অবস্থান করেন তারা।

মনিরুল ইসলাম জাগো নিউজকে তিনি বলেন, ‘দুপুরের আগে এখানে এসেছি, সারাদিন ঘুরলাম। স্ত্রী ও সন্তানকে ঘুরে ঘুরে দেখালাম। বিকেলে রোদ কমে যাওয়ায় ঘুরতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেছি। বাচ্চাকে বাঘ, সিংহ, হরিণ দেখালাম।’

রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে চিড়িয়াখানায় মানুষের ভিড়

আরও পড়ুন>> ঈদ উদযাপনে নতুন মাত্রা মেট্রোরেল

সাভারের ব্যবসায়ী শাহেদ হোসেন ভূঁইয়া মেয়েকে নিয়ে শ্যামলী শিশুমেলার উদ্দেশ্যে বের হয়েছিলেন। তবে বিকেলের পর রোদের তাপ কমায় চিড়িয়াখানায় আসেন তিনি। এ ব্যবসায়ী বলেন, ‘শিশুমেলার উদ্দেশ্যে বের হয়েছিলাম। মাঝপথে চিড়িয়াখানা আসার কথা ভাবলাম, কেননা মেয়ে চিড়িয়াখানা দেখেনি কখনো। এখানে এসে খুব ভালো লাগছে।’

চিড়িয়াখানার পরিচালক ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম তালুকদার জাগো নিউজকে বলেন, ‘গতবারের তুলনায় এবার দর্শনার্থীর সংখ্যা বেশি। গত বছর ঈদের দিন ৬০ হাজারের মতো দর্শনার্থী এসেছিলেন। এবার তা এক লাখ ছাড়িয়ে গেছে। এদিন সকাল থেকেই দর্শনার্থী এসেছেন, দুপুরের পর থেকে তা বাড়তে থাকে।’

এসএম/ইএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।