আনন্দ কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয় সালামি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৫৮ পিএম, ২২ এপ্রিল ২০২৩

একমাস সিয়াম সাধনার পর আজ সারাদেশে পালিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি। শিশু-কিশোরদের আনন্দ যেন কয়েকগুণ বেশি। আর এই আনন্দের অন্যতম অনুসঙ্গ হলো ঈদ সালামি।

শনিবার (২২ এপ্রিল) সকালে মহান আল্লাহর অপার অনুগ্রহ লাভের আশায় ঈদের জামাত শেষে মুনাজাতে অংশ নেন মুসল্লিরা। এর মধ্য দিয়ে শুরু হয় ঈদের আনুষ্ঠানিকতা।

নামাজ শেষে বাসায় ফেরার পর শুরু হয় বড়দের কাছ থেকে সালামি নেওয়া। সালামি আদান-প্রদানে থাকে আন্তরিকতা। ছোট-বড় সবার কাছেই সালামি একটি অন্যতম অনুসঙ্গ। বড়দের সালাম করে নতুন নোটের আবদার থাকে ছোটদের। শুধুমাত্র শিশুরাই নয় সব বয়সের মানুষের মধ্যেই থাকে এ ধরনের এক উচ্ছ্বাস।

আরও পড়ুন: শরীরটা এখানে, মনটা বাচ্চাদের কাছে পড়ে আছে

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মাহমুদুল হাসান ঈদ জামাত পড়ে বাসায় ফেরার পর সন্তানদের আবদার ঈদ সালামি। যদিও তিনি নিজেও প্রস্তুতি রেখেছেন বহু আগে। শিশুদের সালামি দিতে নতুন নোট সংগ্রহ করে রেখেছেন ব্যাংক থেকে। তিনি জানান, ঈদে সালামিটা সবার জন্যই আনন্দের কারণ। ছোটরা এসে সালাম করে সালামি আবদার করে। আসলে, এটা খুব ভালো লাগে। আমরা বড়রা আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখি সালামি দেয়ার। এটি ঈদের আমেজ তৈরি করে।

ছোট্ট শিশু সামিয়া ঈদের দিন অপেক্ষা করেন নামাজ পড়ে বাবা কখন আসবে। বাবা আসতেই সালাম করে সালামি পেয়েছেন পাঁচশ টাকা। জানতে চাইলে সামিয়া জানায়, ‘আব্বু পাঁচশ টাকা দিয়েছে। চাচ্চু দিয়েছে পাঁচশ টাকা। এখন ফুপুর বাসায় যাবো। সবাই আমাকে নতুন নোট দিয়েছে।’

আনন্দ কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয় সালামি

আরও পড়ুন: ঈদের দিনও রাজধানী ছাড়ছেন অনেকে

শুধুমাত্র শিশুরা নন, নানা বয়সী মানুষ ঈদ সালামি নিয়ে উচ্ছ্বসিত থাকে। নাঈমুল ইসলামের বিয়ের পর প্রথম ঈদ। সকালে নামাজ শেষে শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে সালামি পেয়েছেন শ্বশুরের কাছ থেকে। নিজেও সালামি দিয়েছেন শালিকাদের। জানতে চাইলে নাইমুল বলেন, বিয়ের পর এবার প্রথম ঈদ। সকালে নামাজের পর শ্বশুর বাড়ি গিয়েছিলাম। সেখানে শ্বশুর এক হাজার টাকা সালামি দিয়েছেন। আমিও দুই শালিকাকে সালামি দিয়েছি। সালামি পেতেও ভালো লাগে, দিতেও ভালো লাগে। এছাড়াও ভাগিনা-ভাগ্নিকে সালামি দিয়েছি।

এদিকে ঈদের দিনেও অফিস করেন অনেকে। বিশেষ করে গণমাধ্যমে থাকে কর্মীদের তৎপরতা। সেখানে চলে সালামি আদান-প্রদান। থাকে এক ধরনের হৃদ্যতা। সিনিয়র কর্মীরা সালামি দেন জুনিয়রদের। এভাবেই নিজেদের মধ্যে সম্পর্কের পরিধি বিস্তৃতি ঘটে সালামির মাধ্যমে।

আইএইচআর/এসএইচএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।