জাতীয় চিড়িয়াখানায় ভোগান্তি কমাতে অনলাইন টিকিটিংয়ের চিন্তা
ছুটির দিন বিশেষ করে ঈদের সময় দর্শনার্থীদের চাপ বাড়ে মিরপুর জাতীয় চিড়িয়াখানায়। এতে করে টিকিট কাটা নিয়ে অনেকে ভোগান্তিতে পরেন। এই ভোগান্তি কমাতে অনলাইনে টিকিট দেওয়ার কথা ভাবছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার নিজ কার্যালয়ে এমনটিই জানালেন চিড়িয়াখানার পরিচালক ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম তালুকদার।
তিনি বলেন, ঈদের দিনের চাপ এড়াতে ভবিষ্যতে টিকিটিং ব্যবস্থা অনলাইন করবো। পুরো গেটটা নতুন করে করা হবে। পার্কিং সিস্টেমটাও নতুন করে তৈরি হবে। এজন্য আমাদের একটু অপেক্ষা করতে হবে।
আরও পড়ুন: ৭০ হাজার টাকা করে ১৬ হরিণ বিক্রি করল জাতীয় চিড়িয়াখানা
এদিকে ঈদের ছুটিতে দর্শনার্থীদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত করা হয়েছে চিড়িয়াখানা। নতুন করে বেশিরভাগ দেওয়ালে করা হয়েছে রং। প্রবেশ মুখ সাজানো হয়েছে রঙিন পতাকায়। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা, এবার ঈদের ছুটিতে প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ দর্শনার্থীর আগমন ঘটবে চিড়িয়াখানায়।
রাজধানীর মিরপুরে জাতীয় চিড়িয়াখানায় দেখা গেছে, দর্শনার্থীরা যাতে প্রাণীদের কাছে চলে যেতে না পারেন, সেজন্য ১০ হাত দূরে ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। পাবলিক টয়লেট ও চিড়িয়াখানা পরিষ্কার করা হয়েছে। প্রাণীদের যাতে দর্শনার্থীরা উত্যক্ত করতে না পারেন, সে জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে টহলের। বাড়ানো হয়েছে দিকনির্দেশনামূলক সাইনবোর্ডের সংখ্যা। দর্শনার্থীদের পানির সুবিধা দিতে পুরোনো কল মেরামত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় হবে বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদ উপলক্ষে ১৫ দিন আগে থেকে বিশেষ প্রস্তুতি নিয়েছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। চিড়িয়াখানায় হকার প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে। সাউন্ড বক্স নিয়ে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। আর দুই বছরের কম বয়সী শিশুরা বিনামূল্যে চিড়িয়াখানায় প্রবেশ করতে পারবে। দর্শনার্থীদের ও প্রাণীদের নিরাপত্তার জন্য চিড়িয়াখানায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ঘুরতে আসা বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীদের জন্য হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা থাকবে। চিড়িয়াখানার তথ্যকেন্দ্র থেকে এই চেয়ার নেওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: চিড়িয়াখানার উন্নয়নে ১৫ বছরের মহাপরিকল্পনা : যুক্ত হচ্ছে ডলফিন শো
ঈদের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে জাতীয় চিড়িয়াখানার পরিচালক বলেন, বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থী ঈদে আসবে। প্রবেশ পথে জটলা দূর করতে বাঁশ দিয়ে লম্বা কিউ (প্রবেশমুখ) তৈরি করে দিয়েছি। নিরাপত্তা নিশ্চত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। চিড়িয়াখানা সংলগ্ন রাস্তায় যেন যানজট তৈরি না হয় সেজন্য ট্রাফিক ও সিটি করপোরেশনকে চিঠি দিয়েছি।
তিনি বলেন, প্রাণীদের ওপর যাতে কোনো স্ট্রেস না পরে সেই জন্য রোগ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা আগাম নিয়ে রেখেছি।
এসএম/জেডএইচ/জিকেএস