আগামী প্রজন্মকে মুজিবনগর দিবসের গুরুত্ব জানাতে হবে: স্পিকার
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বাঙালি গর্বিত জাতি, যারা ভাষার জন্য রক্ত দিয়েছে এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। তিনি বলেন, আমাদের জাতীয় জীবনে ১৭ই এপ্রিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই আগামী প্রজন্মকে মুজিবনগর দিবসের ঐতিহাসিক গুরুত্ব জানাতে হবে।
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে সোমবার (১৭ এপ্রিল) নিজ নির্বাচনী এলাকা রংপুর-৬ আসনের অন্তর্গত পীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত ‘ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পীরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র এ এস এম তাজিমুল ইসলাম শামীমের সঞ্চালনায় রংপুর জেলার জেলাপ্রশাসক ড. চিত্রলেখা নাজনীনের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক নুরুল আমিন রাজা, সিনিয়র সহসভাপতি শাহিদুল ইসলাম পিন্টু ও পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরী বক্তব্য দেন।
শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, আমাদের স্বাধীনতা কারো দানে পাওয়া নয়। তাই এ দেশের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, দেশপ্রেম ও আনুগত্য বজায় রাখতে নিরলসভাবে কাজ করতে হবে। এ দেশের সঠিক ইতিহাসকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে দেওয়াই হবে মুজিবনগর দিবস আয়োজনের স্বার্থকতা।
এসময় তিনি পীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া ও ডা. এস এ মালেক স্মরণে পীরগঞ্জবাসীর মধ্যে ঈদ উপহার ও উন্নয়ন বার্তার লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন। ফিকামলি তত্ত্বের জনক বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুল ওয়াদুদ অনুষ্ঠানটি পৃষ্ঠপোষকতা করেন।
এ অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক ডা. শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সেন্ট্রাল কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) হেলাল মোর্শেদ খান, বাংলাদেশ মনোবিজ্ঞান সমিতির মহাসচিব প্রফেসর ড. শামসুদ্দীন ইলিয়াস ও ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান এমএ মান্নান বক্তব্য দেন।
স্পিকার বলেন, বঙ্গবন্ধু পরিষদ সংগঠনটি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ, দর্শন ও কর্ম সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে কাজ করে চলেছে। এছাড়া এ পরিষদ সারাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড প্রচার করার পাশাপাশি প্রত্যন্ত এলাকার অসহায় ও দুস্থদের সাহায্য দিয়ে আসছে, যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।
এসময় বাংলাদেশের বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের একনিষ্ঠ কর্মী ডা. এসএ মালেক স্মরণে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সদস্যদের পীরগঞ্জে আগমনের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তিনি।
পরে তিনি পীরগঞ্জ পুরাতন উপজেলা পরিষদ মাঠে উপস্থিত হয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর সবার জীবনে শান্তি ও আনন্দের বার্তা বয়ে আনবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এসময় স্পিকার নিজস্ব তহবিল থেকে ঈদ উপহার হিসেবে পীরগঞ্জবাসীর মধ্যে ৫০০ জনকে শুকনো খাবার, এক হাজার ৬০০ জনকে শাড়ি-লুঙ্গি দেন।
এছাড়া স্পিকার পীরগঞ্জ উপজেলার টুকুরিয়া, বড় আলমপুর, রায়পুর এবং পীরগঞ্জ ইউনিয়নের উপকারভোগীদের মধ্যে ৪৪টি সেলাইমেশিন, ৪০ টি স্প্রে মেশিন, ৪০টি হুইলচেয়ার এবং ২০০টি বাইসাইকেলসহ প্রায় ৪০ লাখ টাকার কাবিটা (কাজের বিনিময়ে টাকা) এবং ৬৩ মেট্টিক টন খাদ্যশস্য কাবিখা (কাজের বিনিময়ে খাদ্য) হিসেবে বিতরণ করেন।
এইচএস/এমএএইচ/এমএস
