নিউ সুপার মার্কেটে আগুন
পুড়ে যাওয়া মালামাল এখনও সরাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা
রাজধানীর ঢাকা নিউ সুপার মার্কেটে লাগা আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়া দোকানগুলো থেকে মালামাল সরাচ্ছেন দোকানিরা। এ ছাড়া ময়লা আবর্জনা হয়ে থাকা দোকান পরিষ্কার করছেন ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা। আর এসব আবর্জনা ট্রাকে করে সরিয়ে নিচ্ছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন।
আরও পড়ুন >> ১৬ বছর আগে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা, ব্যবসায়ীদের বাধায় আটকে ছিল অপসারণ
রোববার (১৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে ঢাকা নিউ সুপার মার্কেটে এমন চিত্রই দেখা গেছে।
আরও পড়ুন >> জমি বিক্রির টাকায় নেওয়া দোকান পুড়ে ছাই
শনিবার (১৫ এপ্রিল) সকালে অগ্নিকাণ্ডে পাঁচশ দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। পানি কিংবা নানা কারণে নষ্ট হয়েছে মালামাল। শনিবার সকালেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও রোববার (১৬ এপ্রিল) সকাল ৯ টায় আগুন পুরোপুরি নির্বাপণ করে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স।
পুড়ে যাওয়া মার্কেটে সকালেই চলে যান ব্যবসায়ী, কর্মচারীরা। সকাল থেকেই তাদেরকে দোকানগুলো থেকে নষ্ট মালামাল সরাতে দেখা যায়। দোকান মালিক সমিতির পক্ষ থেকেও ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করার জন্য শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এসব নষ্ট মালামাল ট্রাকে তুলে সরিয়ে নিচ্ছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।
আরও পড়ুন >> অগ্নিঝুঁকিতে ঢাকার ৫৫ শতাংশ ভবন
কামরুল হাসান নামের এক ব্যবসায়ী জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের তিনটি দোকান ছিল। এরমধ্যে দুটি দোকান পুড়ে গেছে। একটি দোকানের মালামাল বের করতে পেরেছি। আরো কিছু মালামাল বের করতে পারিনি। কি অবস্থা দেখার জন্য এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ করার জন্য আজ মার্কেটে আসলাম।
আরও পড়ুন >> আলামত সংগ্রহে ঘটনাস্থলে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট
মো. জলিল নামের এক শ্রমিক বলেন, মার্কেট সমিতির লোকজন আমাদেরকে নিয়ে এসেছে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ করার জন্য। সকাল আটটা থেকে আমরা পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ শুরু করেছি। এক থেকে দুই দিন লাগবে এসব মালামাল কিংবা ময়লা পরিষ্কার করতে।
মো. ইয়াসিন আরাফাত নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, আমাদের দোকান পুড়ে গেছে। ঈদের আগে এমন ক্ষতিতে আমরা নিঃস্ব হয়ে গেছি। আমরা চাই আমাদেরকে যেন একটু সহযোগিতা করা হয়।
সাইফুল ইসলাম জনি নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, আমাদের গলির দোকান পুড়ে গেছে। ঈদের আগে বেচাকেনা হয়। শুক্রবার থেকে বেচাকেনা শুরু হয়েছিল। আগামী এক সপ্তাহ বেচাকেনা চলতো। এই সময়ে পুড়ে যাওয়ায় আমরা পথে বসার অবস্থা। আমরা অনুরোধ জানাই আমাদেরকে যেন সহযোগিতা করা হয়।
আরএসএম/এসএনআর/জেআইএম