নিউ সুপার মার্কেটে আগুন

একপাশে এখনো উড়ছে ধোঁয়া, অন্যপাশে বেচাকেনা শুরু

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৫৩ পিএম, ১৫ এপ্রিল ২০২৩
আগুন লাগা মার্কেটের পাশের মার্কেটে চলছে বেচাকেনা/ছবি: জাগো নিউজ

রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকার ঢাকা নিউ সুপার মার্কেটে শনিবার ভোরে আগুন লাগে। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা পর সকাল ৯টা ১০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিস। তবে আগুন লাগা মার্কেট থেকে দুপুর ২টা ২০ মিনিটের দিকেও ধোঁয়া বের হতে দেখা যাচ্ছে। তবে এর উল্টোপাশে চাঁদনি চক মার্কেটে এর মধ্যেই দোকান খুলে বেচাকেনা শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা।

সরেজমিন দেখা গেছে, আগুন লাগা নিউ সুপার মার্কেটের সঙ্গে চাঁদনি চক মার্কেটকে সংযুক্ত করেছে একটি ওভারব্রিজ। ওভারব্রিজের একপাশে ঢাকা নিউ সুপার মার্কেট। অন্যপাশে চাঁদনি চক মার্কেট। নিউ সুপার মার্কেটে ধোঁয়া উড়তে দেখা গেলেও চাঁদনি চক মার্কেটে অনেক তরুণী ও নারীদের কেনাকাটা করতে দেখা গেছে।

লালবাগ থেকে এসেছেন তরুণী ফারিশা রহমান। সঙ্গে এসেছেন তার মা মৌমিতা খাতুন। তারা ধোঁয়ার মধ্যেই কেনাকাটা করছেন। আগুন লাগার পরও মার্কেটে আসা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ফারিশা রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘হাতে তো একদমই সময় নেই। ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছি। নিউমার্কেট আগুন লেগেছে কি না, জানি না।’

আরও পড়ুন>> অনির্দিষ্টকালের জন্য নিউমার্কেট বন্ধ ঘোষণা

হাতিরপুল থেকে কেনাকাটা করতে এসেছেন সুমাইয়া আক্তার। তিনি সঙ্গে নিয়ে এসেছেন বড় মেয়ে মৌমিতা আক্তারকে। আগুনের ধোঁয়ার মধ্যেই স্লিপার ও ব্যাগ কিনেছেন তারা। এছাড়া কিছু গহনাও কিনছেন। সুমাইয়া আক্তার বলেন, ‘আগুন তো লাগছে ভোরে। এরপর টিভিতে খবর শুনলাম যে আগুন নিভে গেছে। তাই ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছি।’

চাঁদনি চক মার্কেটে দুপুর ২টার দিকে অনেক ব্যবসায়ী দোকান খুলেছেন। তাদের মধ্যে একজন রিয়াজ আহমেদ। ধোঁয়ার মধ্যেই দোকান খোলা প্রসঙ্গে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘ভাই আমরা শেষ। কী করবো? বাঁচতে তো হবে। দোকানভাড়া দিতে হবে, সংসার টেকাতে হবে। বাধ্য হয়েই দোকান খুলেছি। আমাদের বড় ক্ষতি হয়ে গেলো। ঈদের আগে মার্কেটে আর ক্রেতা ফিরবে কি না সন্দেহ।’

আরও পড়ুন>> নিউমার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে: ফায়ার সার্ভিস

দোকান খোলার পর বেচাকেনা কেমন হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সবেমাত্র দোকান খুলেছি, দেখা যাক কী হয়। কিছু মা-বোনরা কেনাকাটা করতে এসেছেন। আল্লাহ ভরসা, আশা করছি- ক্রেতারা আসবে।’

এমওএস/এএএইচ/এএসএম

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।