ব্যবসায়ীদের প্রশ্ন

ঈদের ৭ দিন আগে ফুটওভারব্রিজ ভাঙতে হবে কেন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:৪০ এএম, ১৫ এপ্রিল ২০২৩

ঢাকা নিউমার্কেটের নিউ সুপার মার্কেট (দ.) ভবনে ভয়াবহ আগুন লাগে শনিবার (১৫ এপ্রিল) ভোরে। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টার চেষ্টায় সকাল ৯টা ১০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

এদিকে আগুন লাগার পেছনে ফুটওভারব্রিজ ভাঙাকে দায়ী করেছেন ব্যবসায়ীরা। কেউ বলছেন, ফুটওভারব্রিজ ভাঙার সময় শর্টসার্কিটের মাধ্যমে আগুন লেগে যায় যেটি আর নেভানো সম্ভব হয়নি।

কেউ বলছেন, সিটি করপোরেশন রাতে কেন ব্রিজ ভাঙতে আসবে? ব্রিজের মাথায় কেন আগুন? এটি পরিকল্পিত। ব্যবসায়ীদের পথে বসানোর জন্য এই আগুন।

কথা হয় ওবায়দুল্লাহ রনি নামে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে। তার পাঁচটি দোকান রয়েছে মার্কেটটির দ্বিতীয় তলায়। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, গত রমজানে ব্রিজ ভাঙার কথা বলেছিল, আমরা রোজায় না ভাঙার কথা বললে সিটি কর্পোরেশন রাজি হয়েছিল। এবার মাত্র ৭ দিন পর ঈদ। কেন এখন ভাঙতে হবে? রোজার পরে ভাঙলেই হতো।

তিনি বলেন, আগুনের খবরে আমরা সিকিউরিটিদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আমাদের জানিয়েছে ফুটওভারব্রিজ ভাঙার সময় বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে আগুন ধরে যায়। পরে এ আগুন আর নেভানো সম্ভব হয়নি।

কথা হয় ব্যবসায়ী মাহবুব শেখ-এর সঙ্গে। তারও চারটি দোকান রয়েছে মার্কেটে। সব মালামাল পুড়ে গেছে। প্রতিটি দোকান ৩০ লাখ টাকা করে অ্যাডভান্স দেওয়া। মাহবুব শেখ জাগো নিউজকে বলেন, আমার সব শেষ। গতকালও কোটি টাকার বেশি মাল ছিল, আজ শূন্য। আমি কার কাছে কী চাইবো?

jagonews24

একথা বলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন এ ব্যবসায়ী।

 

এর আগে শনিবার ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে মার্কেটে আগুন লাগার তথ্য জানতে পারে ফায়ার সার্ভিস। ৫টা ৪৩ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে। এরপর একে একে ফায়ার সার্ভিসের ৩০টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।

এর আগে গত ৪ এপ্রিল সকালে রাজধানীর সর্ববৃহৎ পাইকারি পোশাকের মার্কেট বঙ্গবাজারে ভয়াবহ আগুন লাগে। সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের মার্কেটগুলোতে। আগুনে কয়েক হাজার দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পথে বসেন হাজারো ব্যবসায়ী। ক্ষতি হয় কয়েকশ কোটি টাকার।

ইএআর/এমএইচআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।