দেশে আয় ও ভোগের বৈষম্য বেড়েছে
দারিদ্র্য কমলেও দেশে ভোগ ও আয়বৈষম্য বাড়ছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত ‘খানার আয় ব্যয় জরিপ ২০২২’ এর ফলাফলে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, মানুষের মধ্যে আয়বৈষম্য আগের চেয়ে বেড়েছে। ২০২২ সাল শেষে গিনি সহগ বেড়ে দাঁড়িয়েছে দশমিক ৪৯৯ পয়েন্ট। ২০১৬ সালে গিনি সহগ ছিল দশমিক ৪৮২ পয়েন্ট। সাধারণত দশমিক ৫০০ হলেই একটি দেশকে উচ্চ আয়বৈষম্যের দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সেদিক থেকে অতি সামান্য দূরে আছে বাংলাদেশ।
জরিপে দেখা গেছে, ভোগের বৈষম্যও বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে এইচআইইএস’র গিনি কো ইফিসিয়েন্ট হলো ০ দশমিক ৩৪৪ শতাংশ, ২০১৬ সালে ছিল ০ দশমিক ৩২৪ শতাংশ এবং ২০১০ সালে ছিল ০ দশমিক ৩২১ শতাংশ। সুতরাং ভোগের দিক থেকে বৈষম্য ধীরে ধীরে বাড়ছে। বর্তমানে পল্লী থেকে শহরে বৈষম্য বেশি। পল্লী এলাকায় ভোগের গিনি কো ইফিসিয়েন্ট ০ দশমিক ২৯১ শতাংশ এবং শহরে এ হার ০ দশমিক ৩৫৬ শতাংশ।
আরও পড়ুন>> দেশে বাড়ছে একক পরিবারের প্রবণতা
সারাদেশের ৭২০টি নমুনা এলাকায় এ জরিপ পরিচালিত হয়। প্রতিটি নমুনা এলাকা থেকে দৈবচয়ন ভিত্তিতে ২০টি করে মোট ১৪ হাজার ৪০০ খানা থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
জরিপের প্রশ্নপত্রে মোট ১০টি সেকশন ছিল। এ ১০ সেকশনের তথ্য সংগ্রহের জন্য একজন তথ্য সংগ্রহকারী প্রতিটি খানায় ১০ বার ভিজিট করেন।
হাউজহোল্ড ইনকাম অ্যান্ড এক্সপেন্ডিচার (এইচআইইএস) ২০২২ জরিপে ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর অর্থাৎ এক বছর ধরে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
এমওএস/ইএ/জিকেএস