পরিকল্পনামন্ত্রী

দেশে ফ্রিল্যান্সাররা ১০০ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স আনছেন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:৪৪ পিএম, ১৩ এপ্রিল ২০২৩

দেশে বর্তমানে সাড়ে ১০ লাখ ফ্রিল্যান্সার আছেন এবং তাদের মাধ্যমে ১০০ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স আসছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্ব বাজারে দেশের উন্নয়নে ফ্রিল্যান্সাররা অনেক অবদান রাখছেন। স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে এসব তরুণদের দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করছে সরকার। এর ধারাবাহিকতায় ফ্রিল্যান্সাররা বেশি বেশি আয় করছেন। ফ্রিল্যান্সারদের উপার্জিত অর্থে আমাদের রেমিট্যান্স দিন দিন সমৃদ্ধ হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) রাজধানীর গুলশানে বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সার ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (বিএফডিএস) আয়োজিত সিটিব্যাংক বিএফডিএস কনফারেন্স- ২০২৩ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। বিএফডিএসের উদ্যোগে সারা বাংলাদেশ থেকে আগত ফ্রিল্যান্সারদের নিয়ে ও বিভিন্ন স্কুল, কলেজ থেকে আগত অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষকদের নিয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

দেশের উন্নয়নে ফ্রিল্যান্সারদের অবদান তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ফ্রিল্যান্সারদের অবদান সরাসরি দেশের অর্থনীতিতে পড়ছে। ফ্রিল্যান্সাররা তাদের অর্জিত বিদেশি আয় নির্ধারিত অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোর মাধ্যমে দেশে আনলে এর বিপরীতে ৪ শতাংশ নগদ সহায়তা পাবেন। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। দেশের প্রতিটি ব্যাংককে এই ৪ শতাংশ নগদ সহায়তা প্রদানের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তিনি এ ব্যাপরে বিএফডিএসকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে সরকার নানা ধরনের প্রকল্প গ্রহণ করেছে বলেই বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশের ছেলেমেয়েরা স্বাধীনভাবে কাজ করছে। এটা বড় অর্জন। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট এখন ইউনিয়ন পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। এখন গ্রামে বসেই তরুণদের কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, ফ্রিল্যান্সাররা মুক্ত বিহঙ্গের মতো। তারা যা খুশি তাই করেন। আমাদের তরুণরা অনেক সাহসী, তরুণকালে এতো সাহস আমার ছিল না।

দেশে ফ্রিল্যান্সাররা ১০০ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স আনছেন

ফ্রিল্যান্সারদের মেধাবী উল্লেখ করে এম এ মান্নান বলেন, আমি তো ফেসবুক চালানো বাদ দিয়েছি, এক জায়গায় টিপ দিলে আরেক জায়গায় চলে যায়। অথচ আমাদের তরুণরা আজ ভার্চুয়ালি কাজ করে ডলার আয় করছেন। এতে করে দেশের উন্নয়ন হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে বিএফডিএস প্রতিষ্ঠাতা ও সিনিয়র সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন জয় বলেন, ফ্রিল্যান্সারদের সুখে-দুঃখে সবসময় আমরা পাশে দাঁড়িয়েছি। তাদের জীবনমান উন্নয়নসহ মেধা ও প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনীতিতে দেশকে এগিয়ে নিতে নিরলস কাজ করে চলেছে বিএফডিএস।

সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনটির চেয়ারম্যান ডা. তানজিবা রহমান বলেন, বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিংয়ের বাজার দেড় ট্রিলিয়ন ডলার। এ বাজারে কাজ করছে অননাইন ও অফলাইন মিলিয়ে প্রায় সাড়ে দশ লাখ বাংলাদেশি। ফ্রিল্যান্সিংয়ের কর্মী হিসেবে আমরা বিশ্বের দ্বিতীয়। অথচ আয়ের দিক থেকে ৮ম। আমদের দক্ষতা বাড়াতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফ্রিল্যান্সারদের সামাজিক স্বীকৃতি দিয়েছেন। এই ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ডের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সাররা ব্যাংকিং ঋণসহ অন্যান্য সুবিধাদি পাচ্ছেন। ঘরে বসে নারীরাও ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করছেন।

সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন বলেন, আমরা ফ্রিল্যান্সারদের সর্বোচ্চ সুবিধা দিয়ে আলাদা কার্ড করেছি। এর মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সাররা নানা সুযোগ সুবিধা ও ব্যাকিং ঋণ পাবেন। ডেবিট কার্ডসহ নানা বিষয়ে আমরা ফ্রি করে দিচ্ছি। ফ্রিল্যান্সারদের উন্নয়নে সিটি ব্যাংক সর্বোচ্চ ছাড় দেবে। তরুণেরা ফ্রিল্যান্সিং করে ডলার আয় করছেন। এর ফলে দেশ গঠনে তরুণেরা অবদান রাখছেন সিটি ব্যাংকও এসব তরুণদের পাশে থাকতে চায়।

এসময় আইটি পল্লি সভাপতি নাজমুল করিম ভুইয়াসহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

এমওএস/কেএসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।