ঈদের আগে-পরে ৫ দিন করে লঞ্চে মোটরসাইকেল-মালামাল বহন নিষিদ্ধ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৫২ পিএম, ১৩ এপ্রিল ২০২৩
ফাইল ছবি

ঈদুল ফিতর সামনে রেখে লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই ও বাড়তি ভাড়া আদায় রোধে ভ্রাম্যমাণ আদালন পরিচালনা করা হবে। একই সঙ্গে ঈদের আগে পাঁচদিন সদরঘাটের সব লঞ্চে এবং ঈদের পরে পাঁচদিন অন্য নদীবন্দর ঢাকা সদরঘাটে আসা লঞ্চে মালামাল ও মোটরসাইকেল পরিবহন বন্ধ থাকবে।

বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) সচিবালয়ে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত পর্যালোচনা সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গত ৩০ মার্চ অনুষ্ঠিত যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ যথাযথ কর্মপন্থা গ্রহণ সংক্রান্ত সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনায় এ সভা হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল।

নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নৌপথে চলাচলকারী যাত্রী সাধারণকে যেকোনো জরুরি প্রয়োজনে ও সেবা সংক্রান্ত বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র হটলাইন নম্বর ১৬১১৩-তে যোগাযোগ করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। হটলাইন নম্বর এবং সচেতনতামূলক বাণী বিআইডব্লিউটিএ ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। রাতে স্পিডবোট চলাচল বন্ধ করার জন্য ও লঞ্চে বা ফেরিতে যাতে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই না করতে পারে এবং যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া যেন কোনোভাবেই আদায় না করতে পারে সেজন্য নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবে। বিআইডব্লিউটিএ এবং নৌ-পরিবহন অধিদপ্তর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় প্রয়োজনীয় সমন্বয় করবে।

সভায় জানানো হয়, ৩০ মার্চের সভার সিদ্ধান্তের আলোকে আগামী ১৯ থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় ও দ্রুত পঁচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক ছাড়া সাধারণ ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান ফেরিতে পারাপার বন্ধ থাকবে। রাতে সব ধরনের বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ এবং আগামী ১৭ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত দিনরাত সবসময় সব বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

ঢাকা সদরঘাটে সব যাত্রীবাহী নৌযানে (লঞ্চ) ঈদের আগে পাঁচদিন মালামাল ও মোটরসাইকেল পরিবহন সম্পূর্ণরুপে বন্ধ এবং ঈদের পরে পাঁচদিন অন্য নদীবন্দর থেকে ঢাকা সদরঘাটে আসা নৌযানে মালামাল ও মোটরসাইকেল পরিবহন সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে বলেও সিদ্ধান্ত হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, লঞ্চ ও ফেরির সব স্টাফকে নির্ধারিত ইউনিফর্ম পরিধানের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। লঞ্চে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা সরঞ্জামাদি রাখতে হবে এবং সেগুলো যাত্রীদের নাগালের মধ্যে রাখতে হবে। সব লঞ্চে প্রশস্ত সিঁড়ি এবং সিঁড়ির দুই পাশে মজবুত রেলিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। সব ফেরি ও লঞ্চঘাটে অবস্থিত টয়লেটসমূহ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যবস্থা নিতে হবে। বিআইডব্লিউটিএ, নৌপরিবহন অধিদপ্তর এবং বিআইডব্লিউটিসি এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে।

সভায় আরও জানানো হয়, সুষ্ঠু ও নিরাপদ ঈদযাত্রার স্বার্থে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় আটটি ভিজিলেন্স টিম গঠন করেছে। ১৯ থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ভিজিলেন্স টিম সংশ্লিষ্ট নৌ বন্দরে কাজ করবে।

বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান এস এম ফেরদৌস আলম, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর মো. নিজামুল হক, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা এবং আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুর রহমান খান সভায় উপস্থিত ছিলেন।

আরএমএম/কেএসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।