মাঠ দখল করে গড়ে ওঠে বঙ্গবাজার, মার্কেট চান না এলাকাবাসী

মুসা আহমেদ
মুসা আহমেদ মুসা আহমেদ
প্রকাশিত: ০১:০৫ পিএম, ১৩ এপ্রিল ২০২৩

ফুলবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের পাশেই ছিল পৌনে দুই একর আয়তনের একটি মাঠ। এই মাঠে ক্রিকেট-ফুটবল খেলতো পুরান ঢাকার শিশু-কিশোররা। ঈদুল আজহার সময় এ মাঠেই বসতো ঢাকার সবচেয়ে বড় পশুর হাট। এ হাটকে কেন্দ্র করে পুরান ঢাকায় উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করতো। কিন্তু ফুলবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন কমলাপুরে স্থানান্তরের পর মাঠের বিপত্তি ঘটে। মাঠের জায়গা দখল করে কাপড়ের মার্কেট বানায় সিটি করপোরেশন।

বঙ্গবাজারের ইতিহাস এটি। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি), বাংলাদেশ রেলওয়ে ও বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সের দোকান মালিক সমিতি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

ডিএসসিসির সম্পত্তি বিভাগ ও রাজস্ব বিভাগ সূত্র জানায়, ১৯৮৫ সালে ফুলবাড়িয়া মাঠে হকার ও বিভিন্ন মার্কেটের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের অস্থায়ী দোকান বরাদ্দ দেয় তৎকালীন ঢাকা সিটি করপোরেশন। পরে গুলিস্তানের সুন্দরবন মার্কেটে বঙ্গবাজারের দোকানিদের পুনর্বাসন করা হয়।

আরও পড়ুন>> পূর্বেকার পরিকল্পনা অনুযায়ী বঙ্গবাজারে নতুন মার্কেট করা হবে

তখন বলা হয়েছিল, সুন্দরবন মার্কেটে দোকান বরাদ্দের পর বঙ্গবাজার ছেড়ে দেবে। কিন্তু তাদের অধিকাংশ বঙ্গবাজারের দোকান আর ছাড়েননি। সেগুলোও দখল করে দীর্ঘদিন ব্যবসা করেছেন। পরে বাধ্য হয়ে তাদের স্থায়ী বরাদ্দ দিয়েছিলেন তৎকালীন মেয়র সাদেক হোসেন খোকা। এরপর থেকেই তারা ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন।

গত ৪ এপ্রিল সকালে বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সে (গুলিস্তান ইউনিট, বঙ্গ ইউনিট, মহানগরী ইউনিট, আদর্শ ইউনিট) ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। আগুনে পাশের এনেক্সকো টাওয়ার মার্কেট, মহানগর মার্কেট এবং বঙ্গ ইসলামিয়া মার্কেট ও বঙ্গ হোমিও মার্কেট আগুনে ছাই হয়ে যায়। এতে তিন হাজার ৮৪৫ জন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হন। এখন বঙ্গবাজারের পৌনে দুই একর জায়গা আগের মতোই ফাঁকা। চতুর্ভুজ আকারের জায়গাটি মাঠের মতোই দেখাচ্ছে। তবে বুধবার (১২ এপ্রিল) থেকে সেখানে চৌকি বসিয়ে ফের অস্থায়ী ব্যবসার সুযোগ করে দিয়েছে ডিএসসিসি।

তবে পুরান ঢাকার বাসিন্দাদের দাবি, বঙ্গবাজারের জায়গাটি মাঠ করে বিকল্প স্থানে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন করা হোক। এতে ঘিঞ্জি এলাকার শিশু-কিশোরদের মানসিক এবং শারীরিক বিকাশ ঘটবে।

আরও পড়ুন>> বঙ্গবাজারে আগুন, কী প্রভাব পড়বে ঈদ বাজারে?

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকনের পৈতৃক নিবাস পুরান ঢাকার নাজিরাবাজারে। সোমবার (১০ এপ্রিল) ফুলবাড়িয়া মাঠ ও বঙ্গবাজার গড়ে ওঠার বিষয়ে জাগো নিউজের সঙ্গে স্মৃতিচারণ করে তিনি। সাঈদ খোকন বলেন, ‘ছোটবেলায় ফুলবাড়িয়া মাঠে ফুলবল-ক্রিকেট খেলার বহু স্মৃতি এখনো মনে পড়ে। ঢাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এ মাঠে খেলাধুলা করতে লোকজন আসতো। কিন্তু কালের বিবর্তনে মাঠটি হারিয়ে গেছে। সেখানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণভাবে গড়ে ওঠে হাজারো দোকানপাট। আমি যখন দায়িত্বে ছিলাম (২০১৯ সালের দিকে) তখন মার্কেটটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছিলাম।’

মার্কেটটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণার পরও ব্যবসায়ীরা সরে না যাওয়ার কারণ কী- এমন প্রশ্নের জবাবে সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, ‘মার্কেটটি সম্পূর্ণ কাঠ, টিন ও স্টিলের কাঠামো দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। ভেতরে ঠিকমতো হাঁটাচলাও করা যেতো না। আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়িও ঢোকার সুযোগ ছিল না। তাই অগ্নিনির্বাপণের দিক থেকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়। এজন্য সেখানে বড় বড় সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মার্কেট সমিতির সদস্যদের নিয়ে আমরা একটা প্রকল্প গ্রহণ করি। সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে নকশার কাজগুলো করি।’

নকশা তৈরির পর মার্কেট প্রতিনিধিদের কিছু অবজারভেশন ছিল জানিয়ে সাঈদ খোকন বলেন, ‘নকশা তৈরির পর ব্যবসায়ীরা কোথাও হয়তো সিঁড়ি পরিবর্তন করতে বলেছেন, কোথাও হয়তো দোকানের সংখ্যা বাড়াতে ও কোথাও কমাতে বলেছেন। তাদের মতামতের ভিত্তিতে আমরা প্রকল্পটি চূড়ান্ত করে টেন্ডারে যাই। তখন কেউ কেউ আদালতে গিয়ে এটাকে বন্ধ করে দেন। এর মধ্যে আমার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এরপর তো অনেক সময় গড়িয়েছে। পরে যারা দায়িত্বে আসেন তারা ভালো বলতে পারবেন, কীভাবে বিষয়টি হ্যান্ডেল করেছেন।’

আরও পড়ুন>> ছোট ছোট চৌকি নিয়ে বঙ্গবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা

ডিএসসিসির সম্পত্তি বিভাগ সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের ২৩ জুন বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স (গুলিস্তান ইউনিট, বঙ্গ ইউনিট, মহানগরী ইউনিট, আদর্শ ইউনিট) অগ্নিকাণ্ডের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় বিদ্যমান কাঠামো ভেঙে পাকা ভবন নির্মাণে উদ্যোগ নিয়েছিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। কিন্তু মার্কেটের দোকান মালিক ও সমিতির নেতারা এ প্রস্তাবে কর্ণপাত করেননি। তারা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিরুদ্ধে তিনটি রিট পিটিশন (রিট পিটিশন নং ৪৪১৩/১৭, ১৩১৬৪/১৭, ১৩১৬৫/১৭) দায়ের করেন, যা এখনও চলমান। ফলে ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেট ভাঙা যায়নি। আবার মার্কেট অপসারণ করে সেটিকে মাঠও করা যায়নি।

তবে বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সের জায়গা আগে মাঠ ছিল কি না তা স্পষ্ট করে বলতে পারেননি বঙ্গবাজার শপিং কমপ্লেক্স দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম।

তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘সিটি করপোরেশন আমাদের খালি জায়গায় দোকান বরাদ্দ দিয়েছিল। সেখানে মাঠ ছিল কি না, তা জানা নেই।’ এসময় তিনি বহুতল ভবন নির্মাণের সময় উচ্চ আদালতে রিট করার বিষয়টি এড়িয়ে যান। এছাড়া সুন্দরবন মার্কেটে তার দোকান নেই বলেও জানান তিনি।

আরও পড়ুন>> যে ৩ কারণে আগুন নেভাতে দেরি

গত ৮ এপ্রিল অনলাইনে ‘বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ড এবং উপ-আনুষ্ঠানিক মার্কেটের অগ্নিঝুঁকি: আইপিডির পর্যবেক্ষণ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইপিডি)। ওই অনুষ্ঠানে আইপিডির পক্ষ থেকে বলা হয়, ফুলবাড়িয়া খেলার মাঠকে মার্কেটে রূপান্তর করা ছিল ঐতিহাসিক ভুল। নগর এলাকায় এভাবে অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্তের কারণে মাঠ কিংবা জলাশয় কোনো কিছুকেই রক্ষা করা যাচ্ছে না।

বাংলাদেশ রেলওয়ের সম্পত্তি শাখা ও ডিএসসিসির সম্পত্তি বিভাগ সূত্র জানায়, ১৮৯৫ সালে ফুলবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন স্থাপন করা হয়। ১৯৫০ সালের মাঝ পর্ব পর্যন্ত ঢাকার মূল রেলস্টেশন ছিল ফুলবাড়িয়ায়। ক্রমেই এ এলাকা ঘনবসতিপূর্ণ হয়ে পড়ে। সে কারণে এ রেলওয়ে স্টেশন কমলাপুরে সরিয়ে নেওয়ার চিন্তা করা হয়। পরে ১৯৬৮ সালের ১ মে থেকে কমলাপুর স্টেশনে রেল চলাচল শুরু হয়। ফলে আগের ফুলবাড়িয়া স্টেশন ও আশপাশে রেলের জায়গা পরিত্যক্ত হয়ে যায়। পরিত্যক্ত ১ দশমিক ৭৯ একর জায়গা ১৯৮৫ সালে এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সিটি করপোরেশনকে স্থানান্তর করা হয়। জায়গাটি পরিত্যক্ত থাকায় সেখানে আশপাশের মহল্লার শিশু-কিশোররা খেলাধুলা করতো। তবে সেটি আনুষ্ঠানিক মাঠ ছিল না। তাই সেখানে সহজেই বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স গড়ে ওঠে।

গত ৯ এপ্রিল ডিএসসিসির নগর ভবনে বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সসহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। বৈঠকে একই জায়গায় ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের কথা জানান তিনি।

মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) সরেজমিনে দেখা যায়, বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সের জায়গা থেকে ময়লা-আবর্জনা সরানো হয়েছে। সেখানে বালু ফেলে এবং ইট বিছিয়ে মাঠের মতো পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। সেখানে অস্থায়ীভাবে চৌকি বসিয়ে দোকান বসানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা।

আরও পড়ুন>> আগুনে পোড়া শাড়ি দিয়ে চিত্রকর্ম বানাচ্ছে বিদ্যানন্দ

ব্যবসা কার্যক্রম শুরুর লক্ষ্যে বুধবার সকাল ৯টা থেকে বঙ্গবাজারে চৌকি নিয়ে আসতে শুরু করেন ব্যবসায়ীরা। সেখানে শৃঙ্খলা এবং সারিবদ্ধভাবে চৌকি বসাতে মার্কেটের জায়গা মাপজোক করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) রাজস্ব ও সম্পত্তি বিভাগের সংশ্লিষ্টরা। তারা জানান, এদিন বেলা ১১টা থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসতে পারবেন। এখানে তিন হাজার ৮৪৫ জন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী রয়েছেন।

পুরান ঢাকার কাজী আলাউদ্দিন রোডের প্রবীণ বাসিন্দা মোতাহার হোসেন। মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স এলাকা ঘুরে দেখছিলেন তিনি। আলাপকালে মোতাহার বলেন, ‘ফুলবাড়িয়ায় রেলওয়ের অনেক পরিত্যক্ত জায়গা ছিল। সেখানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নগর ভবন, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সসহ বহু স্থাপনা গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে বঙ্গবাজারের জায়গাটি ফাঁকা ছিল। মহল্লার মানুষ সেখানে খেলাধুলা করতো। আর ঈদুল আজহার সময় সেখানে পশুর বড় হাট বসতো। এখন নগর কর্তৃপক্ষের সম্ভব হলে জায়গাটি ফাঁকা রাখতে পারে। সেখানে একটি মাঠ হলে তরুণ প্রজন্ম উপকৃত হবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাছের বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের চৌকি বসিয়ে ব্যবসা করার সুযোগ করে দিতে নির্দেশনা দিয়েছেন ডিএসসিসি মেয়র। সে অনুযায়ী বঙ্গবাজারের ১ দশমিক ৭৯ একর জায়গাজুড়ে বালু ও ইট বিছানো হয়েছে। বুধবার (১৩ এপ্রিল) থেকে ব্যবসায়ীরা সেখানে চৌকি নিয়ে বসতে পারবেন।’

আরও পড়ুন>> ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা চূড়ান্ত, মোট ব্যবসায়ী ৩ হাজার ৮৪৫

গত ৪ এপ্রিল সকালে ভয়াবহ আগুনের ঘটনা ঘটে বঙ্গবাজারে। সকাল ৬টা ১০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। সকাল ৬টা ১২ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। মোট ৫০টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। আগুন নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সাহায্যকারী দল যোগ দেয়। আগুন নেভাতে ব্যবহার করা হয়েছে হেলিকপ্টারও। নির্বাপণ কাজে ছিলেন র‌্যাব, পুলিশ ও ওয়াসার সদস্যরাও।

প্রায় সাড়ে ৬ ঘণ্টা জ্বলে, কয়েকটি মার্কেটের কয়েক হাজার দোকান পুড়ে অবশেষে নিয়ন্ত্রণে আসে বঙ্গবাজার মার্কেটের আগুন। আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় দোকানগুলো। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হন কয়েক হাজার ব্যবসায়ী। এসব ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করতে এরই মধ্যে এগিয়ে এসেছেন বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংস্থা। সরকারের পক্ষ থেকেও সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরাও সেখানে অস্থায়ী দোকান বসিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন।

এমএমএ/ইএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।