শহীদ মিনারে ডা. জাফরুল্লাহর প্রতি সর্বস্তরের শ্রদ্ধা আজ
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহ সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য আজ (বৃহস্পতিবার) রাখা হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত তাকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাষ্ট্রীয় ও সর্বস্তরের শ্রদ্ধা জানানো হবে।
এরপর দুপুর আড়াইটায় ঐতিহাসিক শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হবে প্রথম জানাজার নামাজ।
বুধবার (১২ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন ও শ্রদ্ধা নিবেদন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক আলতাফুন্নেছা। গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল ও ডায়ালাইসিস সেন্টারের মেজর এটিএম হায়দার বীর উত্তম মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবারে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের জনগণ ও রাষ্ট্রীয় শ্রদ্ধা জানানো হবে। এরপর দুপুর আড়াইটায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মরহুমের প্রথম জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। এরপর শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ১০ টায় মরদেহ নেওয়া হবে সাভারে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে। সেখানে জুমার নামাজ শেষে মরহুমের দ্বিতীয় জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। এরপর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। বৃহস্পতিবার দাফনের বিষয়ে জানানো হবে।
আরও পড়ুন: দলহীন দাপুটে রাজনীতিবিদ জাফরুল্লাহ চৌধুরী
এসময় গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ডা. জাফরুল্লাহর দাফনের বিষয়টা পরিবারের সদস্যরা শুক্রবার দ্বিতীয় জানাজার নামাজ শেষে সবাইকে জানিয়ে দেবেন। তার ১০ ভাই-বোন, তার কন্যা, পুত্র এবং স্ত্রী আছেন।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী তার দেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মৌখিকভাবে দান করে গেছেন এমন শোনা যাচ্ছে। এ নিয়ে জানতে চাইলে সাকি বলেন, পরিবারের লোকজন দেহদানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়ে থাকলে সেটি বৃহস্পতিবার আপনাদের জানিয়ে দিতে পারবো।
মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) রাত ১১টায় মারা যান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। রাতেই প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. এবিএম আবদুল্লাহ তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী গুরুতর অসুস্থ হয়ে রাজধানীর ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ৮১ বছর বয়সী ডা. চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে কিডনিসহ নানা রোগেও ভুগছিলেন।
এমএইচআর/এএসএম